Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

রাফাল নিয়ে খোঁচা রাহুলের

তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজে প্যারিস গিয়েছেন। তিনি নিজেই রাফাল কেনার জন্য ইউপিএ সরকারের চুক্তি বদলে ফেলেছেন। নিজেই নতুন চুক্তি করেছেন। কী চুক্তি হয়েছে, কত দাম পড়েছে, তা সরকার মানুষকে জানাতে রাজি নয়। এর অর্থ কী? ঘাপলা হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:২৪
Share: Save:

রাহুল গাঁধী এ বার যুদ্ধবিমানে সওয়ার। নিশানায় নরেন্দ্র মোদী। রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে ‘ঘাপলা’-র অভিযোগ তুলে বোমা দাগলেন কংগ্রেস সভাপতি।

ইউপিএ আমলে ফ্রান্স থেকে ৫৪ হাজার কোটি টাকায় ১২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়েছিল। মোদী সরকার এসে সেই চুক্তি বদলে ৩৬টি রাফাল কেনার চুক্তি করেছে। কিন্তু তার জন্য ৫৮ হাজার কোটি টাকা গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। যার অর্থ, ইউপিএ-র চুক্তিতে একটি বিমানের দাম পড়ত ৫২৬ কোটি টাকা। মোদী জমানায় দিতে হচ্ছে ১,৫৭০ কোটি টাকা। বিশেষ এক শিল্পপতিকে সুবিধে দেওয়ার জন্যই এই চুক্তি বদল বলেও কংগ্রেসের অভিযোগ। প্রথমে ফ্রান্স থেকে কেনার পরে দেশেই এই যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য অনিল অম্বানীর সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ইউপিএ জমানায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যাল-এর সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। তা-ও বাতিল করেছে মোদী সরকার। কংগ্রেসের প্রশ্ন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাহীন অনিল অম্বানীর সংস্থা কী ভাবে এই দায়িত্ব পেল? সবে গরিব, কৃষকের মন জয়ে মোদী সরকার বাজেট পেশ করেছে। পুরনো বফর্স খুঁচিয়ে তুলতে ফের সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে সিবিআই। পাল্টা চালে আজ মোদী জমানার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন রাহুল।

তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজে প্যারিস গিয়েছেন। তিনি নিজেই রাফাল কেনার জন্য ইউপিএ সরকারের চুক্তি বদলে ফেলেছেন। নিজেই নতুন চুক্তি করেছেন। কী চুক্তি হয়েছে, কত দাম পড়েছে, তা সরকার মানুষকে জানাতে রাজি নয়। এর অর্থ কী? ঘাপলা হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে।’’

রাফাল নিয়ে কংগ্রেস আগেও সরব হয়েছিল। এ বার নতুন অস্ত্র জুগিয়েছে রাজ্যসভায় রাফাল নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের জবাব। বিমান পিছু কত দাম পড়েছে, সেই প্রশ্নে নির্মলা জবাব দিয়েছেন, ‘‘এ’টি ভারত ও ফ্রান্স, দু’টি দেশের মধ্যে চুক্তি। সেই চুক্তি অনুযায়ী এই তথ্য গোপন।’’ এ নিয়ে আজ রাহুল নির্মলাকে বলেন, ‘‘একটু তো রাফাল নিয়ে মুখ খুলুন। জানি, আপনি ভয় পাচ্ছেন। একটু তো মেরুদণ্ড দেখান।’’

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তাদের যুক্তি, ইউপিএ সরকারের তুলনায় এ বারের যুক্তিতে বিমানের সঙ্গে অতিরিক্ত অনেক সরঞ্জাম, যুদ্ধাস্ত্র থাকছে। সেই জন্যই বেশি দাম। টুইটারে রাহুলের খোঁচা, ‘‘সংসদকে বিমানের দাম জানানোটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি! তা হলে যারা প্রশ্ন তুলছে, তাদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে দিন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE