Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৪
National

নোট বদলাতে ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে রাহুল

তাঁরও তো হাতখরচ লাগে! হলেনই বা কংগ্রেসের সহ সভাপতি। রোজকার খরচখরচা যে আর টানা যাচ্ছে না ব্যাঙ্কে গিয়ে পুরনো নোটগুলি জমা দিয়ে নতুন নোট না নিয়ে এলে! তাই শুক্রবার দুপুরে মধ্য দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিটে স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায় চলে গেলেন রাহুল গাঁধী। পরনে সাদা শার্ট আর নীল জিন্‌স।

মধ্য দিল্লিতে ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে দাঁড়ানো রাহুল গাঁধী। শুক্রবার।

মধ্য দিল্লিতে ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে দাঁড়ানো রাহুল গাঁধী। শুক্রবার।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ১৮:২৯
Share: Save:

তাঁরও তো হাতখরচ লাগে! হলেনই বা কংগ্রেসের সহ সভাপতি। রোজকার খরচখরচা যে আর টানা যাচ্ছে না ব্যাঙ্কে গিয়ে পুরনো নোটগুলি জমা দিয়ে নতুন নোট না নিয়ে এলে! তাই শুক্রবার দুপুরে মধ্য দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিটে স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায় চলে গেলেন রাহুল গাঁধী। পরনে সাদা শার্ট আর নীল জিন্‌স। আর যাওয়া মানে একেবারে সিঁড়ি দিয়ে উটে গটগটিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের ঘরে চলে যাওয়া নয়। পুরনো নোট জমা দিয়ে টাকা নেওয়ার জন্য সকাল থেকে ঠা ঠা রোদে আমজনতা যে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেই লাইনেই দাঁড়িয়ে পড়লেন কংগ্রেস সহ সভাপতি। এত ঘাম, এত হই হল্লা, এত বিরক্তির মধ্যেই লাইনে রাহুলের মতো ‘নীল রক্তে’র এক ব্যাক্তিত্বকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্বাভাবিক ভাবেই চনমনে হয়ে উঠলেন লাইনে দাঁড়ানো ব্যাঙ্কের অন্য গ্রাহকরা। কাছ থেকে রাহুল দেখতে দেখতেই লাইনে দাঁড়ানো মানুষজনের সময় কেটে গেল, বিরক্তিও! সুযোগটা ব্যবহার করার বিচক্ষণতা দেখাতেও দেরি করেননি কংগ্রেসের সহ সভাপতি। লাইনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুললেন। তিনি যে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের চেয়ে একটুও আলাদা নন, তা বোঝাতে লাইনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে তুলতেই বললেন, ‘‘আমি ৪ হাজার পুরনো নোট বদলে নতুন নোট নিয়ে যেতে এসেছি। হাতখরচের টাকা লাগবে তো! এই হঠাৎ ঘোষণায় সাধারণ মানুষের খুবই দুর্ভোগ হচ্ছে। আমিও তাঁদের দুর্ভোগের যন্ত্রণা শেয়ার করতে চাই। তাই ব্যাঙ্কে চলে এসেছি।’’ রাহুলকে ঘিরে রেখেছিলেন স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের রক্ষীরা। তাঁরা অবশ্য ঠেলেঠুলে লাইন থেকে অন্যদের সরিয়ে দিতেই ব্যস্ত ছিলেন। তবু তারই মধ্যে কংগ্রেসের সহ সভাপতি বোঝানোর চেষ্টা করলেন, ‘আমি তোমাদেরই লোক’। আর সেটা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘‘শুধুমাত্র দশ কি পনেরো জনের সরকার না হয়ে মোদী সরকারের উচিত ছিল এই লাইনে দাঁড়ানো মানুষগুলির পাশে দাঁড়ানো।’’

এর পর ‘বল’টা যাতে গড়িয়ে না চলে যায় রাহুলের ‘কোর্টে’, তাই এই ঘটনাকে ‘লোকদেখানো’ বলতে দ্বিধা করেনি বিজেপি। শাসক দলের মুখপাত্র শাইনা এনসি বলেছেন, ‘‘রাহুলের এই লোকদেখানো ঘটনার ফলে ব্যাঙ্কের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিছুটা ভেঙে পড়েছিল। তাতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।’’

আরও পড়ুন- কালো টাকায় ভরছে ‘ভগবানের ঝোলা’! সাদা করে দেবেন ‘তিনি’ই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE