বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের পাশে রাহুল গাঁধী। ছবি: টুইটার।
পুণের এফটিটিআইআইয়ের পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে আরও এক বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই নিশানা করলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। পড়ুয়াদের আন্দোলন সত্ত্বেও চেয়ারম্যান পদে এখনও কেন রয়েছেন গজেন্দ্র চৌহান, সেই প্রশ্ন তুলে শেষ পর্যন্ত এই অচলাবস্থার জন্য মোদীকেই দায়ী করেছেন রাহুল। তাঁর মন্তব্য, “মোদী যদি কোন বিষয় এক বার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, তবে বিজেপিতে কারোরও ক্ষমতা নেই যিনি এই সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন। মোদী গজেন্দ্র চৌহানকে চেয়ারম্যান পদে রাখবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।” বিক্ষোভরত ছাত্রদের ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সকালে পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এফটিটিআইআই) যান রাহুল গাঁধী।
এর আগে তাঁকে দেখা গিয়েছে সমস্যাদীর্ণ চাষিদের পাশে দাঁড়াতে। তার জন্য তেলঙ্গানা থেকে পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ় থেকে রাজস্থানের প্রত্যন্ত প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। এমন কী শুধু মাত্র পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি এই রাজ্যের হুগলির রিষড়ার ওয়েলিংটন চটকল শ্রমিকদের সঙ্গেও দেখা করেছেন রাহুল। এ বার পুণের ফিল্ম ইনস্টিটিউটের আন্দোলনরত ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতেও দেখা গেল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীকে। তাঁদের আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এত কেন বিব্রত তা পড়ুয়াদের কাছে জানতে চান রাহুল। একই সঙ্গে, সব সময় মধ্যপন্থাকে তুলে ধরে বলে আরএসএসকেও বেঁধেন রাহুল। পড়ুয়াদের রাহুল বলেন, “তোমরা মেধাবী, কিন্তু তোমাদের মাথার উপর এক জন মধ্য মেধার মানুষকে চেয়ারম্যানকে বসানো হয়েছে।” কংগ্রেস সহ-সভাপতির কাছে তাঁদের আন্দোলনকে সংসদে তুলে ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন পড়ুয়ারা।
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের গভর্নিং কাউন্সিলিংয়ের চেয়ারম্যান পদ থেকে গজেন্দ্র চৌহানের অপসারণের দাবিতে গত ৩ জুলাই থেকে লাগাতার অচলবস্থা চলছে প্রতিষ্ঠানে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর আন্দোলন শুরু করেন ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের পড়ুয়ারা। তাঁদের পাশে দাঁড়ান বলিউড তারকারাও। সোশ্যাল মিডিয়া গজেন্দ্র চৌহানের অপসারণের দাবিতে ঝড় ওঠে। ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পর্ষদের একাধিক সদস্য। ছাত্রদের অভিযোগ, এত কিছু সত্ত্বেও নিজের পদে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন গজেন্দ্র। তাই রাহুলের কাছে সাহায্য চায় ছাত্র সংগঠন। সম্প্রতি এফটিআইআই ছাত্র সংগঠনের সভাপতি হরিশঙ্কর নাচিমুথু, চলতে থাকা এই সঙ্কটের সমাধান চেয়ে রাহুলকে একটি চিঠি লেখেন। গজেন্দ্রর ইস্তফার দাবির সমর্থন করেন রাহুলও। চিঠি পাওয়ার পর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েই এ দিন প্রতিষ্ঠানে যান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy