জম্মু ও কাশ্মীরে রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার জম্মুর রামবন এবং কাশ্মীর উপত্যকার অনন্তনাগে কংগ্রেসের দু’টি জনসভায় বক্তৃতা করেন তিনি। দু’জায়গাতেই প্রতিশ্রুতি দেন, ‘ইন্ডিয়া’ ক্ষমতায় এলে সর্বতোভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে সচেষ্ট হবে।
রামবনের সভায় জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করে রাহুল বলেন, ‘‘স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে অনেকগুলি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার নজির রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার উদাহরণ মাত্র একটি— জম্মু ও কাশ্মীর। মানুষের অধিকার হরণের এমন নজির আর ভারতের ইতিহাসে নেই।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট মোদী সরকার ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে। ফলে বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। এমনকি, কেড়ে নেওয়া হয় রাজ্যের তকমাও। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ— দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। তারই মধ্যে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভায় ‘জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল’ পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘যখন কাশ্মীর বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ভূস্বর্গ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না। সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে।’’
কিন্তু সেই ‘সঠিক সময়’ এখনও জানায়নি মোদী সরকার। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বরে রায়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। পাশাপাশি, ৩০ সেপ্টেম্বেরর মধ্যে বিধানসভা ভোটের আয়োজন করার এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর সময়সীমা জানানোরও নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু তা-ও জানানো হয়নি। রাহুল বুধবার বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে মানুষকে ভয় পেতে শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy