(বাঁ দিকে) এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এবং আপের রাজ্যসভা সাংসদ রাঘব চড্ডা। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের পরে এ বার হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটেও আসন সমঝোতায় সক্রিয় হল ‘ইন্ডিয়া’র দুই শরিক কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি (আপ)। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে আসন রফা চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার দু’দফা বৈঠক করেছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এবং আপের রাজ্যসভা সাংসদ রাঘব চড্ডা। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সোমবার দলের জাতীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে সরাসরি আসন সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ইতিবাচক বার্তা এসেছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের তরফে। তার পরেই এই বৈঠক।
প্রকাশিত খবরে দাবি, হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে আপ ১০টি চেয়েছে। কংগ্রেস ৭টি ছাড়তে রাজি হয়েছে। এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে, নির্বাচন কমিটির বৈঠকে রাহুল সরাসরি কংগ্রেস নেতাদের কাছে জানতে চান, ভোট ভাগাভাগি এড়াতে ‘ইন্ডিয়া’র সহযোগী দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা সম্ভব কি না। সে সময় হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা জানান, আপ যত আসন চাইছে তা দিতে গেলে কংগ্রেসের ক্ষতি হবে। কিন্তু তার পর রাহুল সরাসরি জানান, এ ক্ষেত্রে এক মাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত বিজেপিকে হারানো।
মঙ্গলবার এআইসিসির নবনিযুক্ত পদাধিকারীদের বৈঠকেও রাহুল পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও হাজির ছিলেন ওই বৈঠকে। অন্য দিকে, রাহুলের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমাদেরও প্রধান লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। হরিয়ানার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা সন্দীপ পাঠক এবং সুশীল গুপ্ত আমাদের দলের নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।’’ প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ধৃত কেজরীওয়াল বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি। আপ নেত্রী তথা দিল্লির মন্ত্রী অতিশী মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘‘এখনও এ বিষয়ে আমাদের নেতা কোনও চূড়ান্ত নির্দেশ দেননি।’’
এ বারের লোকসভা ভোটে বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় সমঝোতা করেছিল কংগ্রেস এবং আপ। সে রাজ্যের ১০টি আসনের মধ্যে একটি কেজরীকে ছেড়ে ন’টিতে লড়েছিল রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। তার মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছেন ‘হাত’ প্রতীকের প্রার্থীরা। বাকি পাঁচটি গিয়েছে ‘পদ্মে’র ঝুলিতে। ২০১৯ সালে ১০টি আসনেই জিতেছিল বিজেপি। যদিও গত জুলাই মাসে এআইসিসির মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বিধানসভা ভোটে আপের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা খারিজ করেছিলেন। কেজরীর দলের তরফেও হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে ‘একলা চলো’ বার্তা দেওয়া হয়েছিল। যদিও মঙ্গলবার এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক দীপক বাবারিয়া প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘স্ক্রিনিং কমিটি’র বৈঠকের পরে বলেন, ‘‘আপের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা চলছে।’’
লোকসভা ভোটে আপের সঙ্গে সমঝোতায় ভাল ফল করেও জয়রাম কেন ফের একলা লড়ার বার্তা দিয়েছিলেন জয়রাম? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূলের মতোই হরিয়ানায় কংগ্রেস-আপ সমীকরণও আদতে ‘ব্যস্তানুপাতিক’। অর্থাৎ, আপের বাড়বৃদ্ধি হবে কংগ্রেসের ক্ষতিবৃদ্ধি হলে। আবার একই রকম ভাবে কংগ্রেসের উন্নতি হবে আপের অবনতিতে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি আঁচ করে আপাতত বিজেপিকে ঠেকাতে দু’পক্ষ সমঝোতা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আগামী ৫ অক্টোবর এক দফাতেই হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা আসনে ভোট হবে। গণনা ৮ অক্টোবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy