রাহুল গাঁধী। ছবি পিটিআই।
কংগ্রেস সভাপতির কুর্সিতে কি আবারও বসবেন রাহুল গাঁধী? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। আগামী নভেম্বর মাসেই রয়েছে বহু প্রতীক্ষিত কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। শেষ পর্যন্ত কি সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে তুলতে রাজি হবেন রাহুল? না কি গাঁধী পরিবারের বাইরে কেউ এই গুরুদায়িত্ব সামলাবেন? এই জল্পনার আবহেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন সনিয়া-পুত্র।
শুক্রবার কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তামিলনাড়ুতে এই প্রসঙ্গে রাহুল বলেছেন, ‘‘আমিই কংগ্রেস সভাপতি হব না কি হব না, তা নির্বাচনের সময়ই স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’ এ কথা বলার পর তিনি যোগ করেছেন, ‘‘আমায় কী করতে হবে, তা মনস্থির করে ফেলেছি। কোনও রকম বিভ্রান্তি নেই।’’ তবে এর বাইরে কংগ্রেস সভাপতি সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নেই আর ভাঙেননি রাহুল।
আগামী ১৭ নভেম্বর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। তার দু’দিন পরই ফলাফল জানা যাবে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল। তার পরিবর্তে অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি পদে দায়িত্বভার নেন সনিয়া। স্থায়ী সভাপতির দাবি জানিয়ে সরব হন কংগ্রেসের অন্দরের একাংশ। নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন কয়েক জন নেতা। রাহুলকেই আবার সভাপতি করার দাবি উঠলেও তাতে রাজি হননি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। শোনা যায়, গাঁধী পরিবারের বাইরে কেউ এই পদে বসুন, সেটাই চান রাহুল। আবার, রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতাদেরই একাংশ।
সম্প্রতি কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ। কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণ হিসাবে রাহুলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন গুলাম। দল পরিচালনায় রাহুলের ‘অপরিপক্বতা’র কথা তুলে ধরেছেন। এই প্রেক্ষাপটে আসন্ন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের আগে রাহুলের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy