সামান্য শোনার ভুল! তার মাসুল গুনতে হল ঘণ্টাখানেকের তোলপাড় ফেলা কার্যকলাপে। ভোপালের রাজা ভোজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটেছে ঘটনাটি। জানা গিয়েছে, কর্তব্যরত এক তরুণীর কাছে ফোন এসেছিল। সেখানেই বিমান পরিবহণে বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ প্রয়োগ করা হয়। সদ্য কাজে যোগ দেওয়া তরুণীর শোনার ভুলে তা-ই হয়ে যায় ‘ব্লাস্ট’। অতঃপর, হুলস্থুল।
জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর টিকিট কাউন্টারে একটি ফোন আসে। ফোনটি ধরেন সদ্য কাজে যোগ দেওয়া এক তরুণী। তাঁকে ফোনে বলা হয়, আগরাগামী বিমানে ‘বালাস্ট’ এর অবস্থা কী? তরুণীর শোনার ভুলে ‘বালাস্ট’ হয়ে যায় ‘ব্লাস্ট’ (বিস্ফোরণ)।
আরও পড়ুন:
রেল ও বিমান পরিবহণে বহুল ব্যবহৃত শব্দ ‘বালাস্ট’। এর অর্থ হল বাড়তি ওজন। কোনও বিমানে প্রয়োজনের তুলনায় কম যাত্রী থাকলে মাঝ আকাশে বিমানের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সমস্যায় পড়েন বিমানচালক। তাই বিমানের পেটে অতিরিক্ত ভারি কিছু পণ্য চাপিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। একেই বিমান পরিবহণে ‘বালাস্ট’ বলা হয়। ফোনে আগরাগামী বিমানে সেই বালাস্টের অবস্থাই জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সদ্য কাজে যোগ দেওয়ায় তরুণীর কাছে সেই শব্দ অচেনা। বরং তিনি ‘ব্লাস্ট’ শব্দটি শুনেছেন আকছার। অতএব…
এ দিকে বিস্ফোরণের আশঙ্কার কথা আলোর বেগে ছড়িয়ে পড়ে বিমানবন্দরে। জারি হয় জরুরি অবস্থা। বিমানবন্দরের কার্যকরী অধিকর্তা অমৃত মিন্জ জানান, সেই সময় একটি গাড়ি দ্রুত বেগে বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকছিল। জরুরি অবস্থা জারির সময় গাড়িটি টায়ার কিলারের (নিরাপত্তার জন্য রাস্তার মধ্যে বসানো কাঁটা। যা সঙ্কেত পেলেই সোজা হয়ে রাস্তার উপরে উঠে যায়। তাতেই আটকে যায় গাড়ির চাকা।) উপরে ছিল। আচমকা জরুরি অবস্থা জারি হতেই টায়ার কিলার চালু হয়ে যায়। মুহূর্তে গাড়ির চাকা ফালাফালা। অমৃত বলেন, ‘‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার জন্য আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’’
পরে যখন বোঝা যায় তরুণী ভুল শুনেছিলেন, তখন জরুরি অবস্থা ফিরিয়ে নেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক ভাবে বিমান ওঠানামা শুরু হয়। যাঁর শোনার ভুলে এত কাণ্ড, তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।