শুধু রাফাল যুদ্ধবিমান নয়। নরেন্দ্র মোদী তাঁর ‘মিত্র’ অনিল অম্বানীকে জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্য বিমার বরাতও পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুললেন রাহুল গাঁধী।
কেন্দ্রীয় সরকার সপ্তাহ দুই আগে জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য গ্রুপ মেডিক্লেম স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প চালু করেছে। সরকারের নির্দেশ, অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাতেই বিমা করাতে হবে। এলআইসি-র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বাদ দিয়ে কেন অম্বানীদের বেসরকারি সংস্থায় বিমা করানোর নির্দেশ, তা নিয়ে সরকারি কর্মচারীরা আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। জম্মু-কাশ্মীর এখন রাজ্যপালে শাসনে। যার অর্থ কেন্দ্রেরই শাসন চলছে সেখানে। তাই আঙুল উঠেছে মোদী সরকারের দিকেই। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল সেই হাতিয়ারই হাতে তুলে নিয়েছেন।
অনিল ও মোদীকে কটাক্ষ করে রাহুলের টুইট, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যখন আপনার বিএফএফ (বেস্ট ফ্রেন্ড ফরএভার), তখন কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়াই আপনি ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি
টাকার রাফাল বরাত পেতে পারেন। কিন্তু দাঁড়ান, আরও আছে। জম্মু-কাশ্মীর সরকারের ৪ লক্ষ কর্মীর হাত মুচড়ে আপনার কোম্পানি থেকেই স্বাস্থ্য বিমা কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।’’
সদ্যই সরকারি ছাড়পত্র পেয়েছে অনিলের ‘রিলায়্যান্স জেনারেল হেলথ ইনশিওরেন্স কোম্পানি’। ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তাঁর প্রতিরক্ষা সংস্থাকে রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত পাইয়ে দিয়ে সরকারি সংস্থা হ্যাল-কে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলেছেন রাহুল। এ ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রায়ত্ত এলআইসি-কে বঞ্চিত করে জম্মু-কাশ্মীরে অনিলের সংস্থাকে ব্যবসার সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস।
রাফাল নিয়ে কংগ্রেসের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অনিল। আজ ‘রিলায়্যান্স জেনারেল হেলথ ইনশিওরেন্স কোম্পানি’ বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, স্বচ্ছ দরপত্র প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই তারা বরাত পেয়েছে। প্রতিযোগিতায় সরকারি-বেসরকারি একাধিক সংস্থা অংশ নিয়েছিল।
কিন্তু রাজ্য কংগ্রেস নেতা সলমন নিজামির অভিযোগ, শুধু সরকারি কর্মী নন। স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কমিশনের কর্মীদেরও অনিলের সংস্থা থেকেই বিমা কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাজ্য থেকে বছরে ৮ হাজার কোটি টাকার প্রিমিয়াম তুলবে ওই সংস্থা। সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন এমপ্লয়িজ জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটিও এই নির্দেশের বিরোধিতা করেছে। তাদের যুক্তি, আগে যে স্বাস্থ্য ভাতা মিলত, তা বন্ধ হবে। তার বদলে মোটা টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে স্বাস্থ্য বিমা কিনতে হবে। সব স্তরের কর্মীদের জন্যই একই অঙ্কের প্রিমিয়াম। ফলে নিচুতলার কর্মীদের তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy