Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মধ্যরাতে ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল রাহুলের

মিছিলে যোগদানকারীদের হাতের মোমবাতির আলোয় তখন উজ্জ্বল হয়ে উঠছে গোটা চত্বর। আর সেখানেই রাস্তার উপর প্রতিবাদ জানিয়ে বসে পড়নে রাহুল। তাঁর দেখাদেখি অন্যরাও।

মোমবাতি মিছিলে রাহুল। ছবি : পিটিআই।

মোমবাতি মিছিলে রাহুল। ছবি : পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৪২
Share: Save:

রাতের মিছিলে উত্তপ্ত রাজধানী।

পুলিশের গড়া ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল করে এগোচ্ছেন রাহুল গাঁধী। সঙ্গে দুই প্রৌঢ়-প্রৌঢ়া— নির্ভয়ার বাবা-মা। ওঁদের সঙ্গেই মিছিল ভেঙে এগোচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা বঢরা-সুস্মিতা দেব-দিব্যা স্পন্দনারা। হাঁটছেন প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা এবং তাঁদের ছেলেমেয়েরা। তাঁদের সঙ্গে আরও জনতা। রীতিমতো ধস্তাধস্তি করেও মিছিল আটকাতে পারল না পুলিশ। তাদের গড়া ব্যারিকেড ভেঙেই মিছিল পৌঁছে গেল ইন্ডিয়া গেটে।

মিছিলে যোগদানকারীদের হাতের মোমবাতির আলোয় তখন উজ্জ্বল হয়ে উঠছে গোটা চত্বর। আর সেখানেই রাস্তার উপর প্রতিবাদ জানিয়ে বসে পড়নে রাহুল। তাঁর দেখাদেখি অন্যরাও।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল সন্ধ্যাতেই টুইট করে জানিয়েছিলেন, নারী নির্যাতন এবং নির্যাতিতাদের জন্য বিচার চেয়ে মধ্যরাতে মিছিল এগোবে ইন্ডিয়া গেটের দিকে। সময় মতোই শুরু হয়েছিল মিছিল। সেই মিছিলে নির্ভয়ার বাবা-মায়ের যোগ দেওয়া অন্য মাত্রা যোগ করে।

আরও পড়ুন: বিচার পাবেই আসিফা, টুইট ভি কে সিংহের

কাঠুয়া এবং উন্নাওয়ের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে এবং নির্যাতিতাদের জন্য বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মিছিল করেন রাহুল। আর সেই মিছিল ফিরিয়ে দিল ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদের আবহ। এমনিতেই নানা ঘটনায় চাপে থাকা নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের কপালের ভাঁজ আরও গভীর করে দেওয়ার জন্য যা যথেষ্ট।

সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার সারা দিনটাই অন্য রকম কাট বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের। রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে ক’দিন আগে কংগ্রেসের অনশনকে টেক্কা দিতে বিপুল প্রচার করে এ দিন পাল্টা অনশনে বসলেও সেটা তেমন জমাতে পারেননি মোদী-অমিত শাহরা। উন্নাও আর কাঠুয়া গণধর্ষণের ছায়ায় সেই অনশন ঢাকা পড়ে যাওয়ার অস্বস্তির মধ্যেই রাহুলের মিছিল।

আরও পড়ুন: ধর্ষণে অভিযুক্ত বিধায়কও পুলিশের চোখে ‘মাননীয়’!

অথচ এমনটা যে হবে, বিজেপি নেতাদের কল্পনাতেও ছিল না। পাছে কেউ খেতে শুরু করেন, সেই ভয়ে আশপাশের খাবারের দোকান পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়ে তাঁরা অনশন শুরু করেন সকাল থেকে। সেখানে স্লোগান ওঠে, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনশন করুন’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে কখন অনশন শুরু করলেন আর কখন শেষ করলেন— সেটাই তো জানা গেল না! অনশনের মধ্যেই এ দিন চেন্নাই সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই সফর নিয়ে বিশেষ কথা না বলে দিনের শেষে তাঁর দফতর জানাল, পিএমও-র চাপেই উন্নাওয়ের ঘটনা সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে। কংগ্রেসের প্রশ্ন,
যে মোদী সব কিছু নিয়ে নিজের ছবি প্রচার করেন, তিনি কি আজ রাহুলের চাপেই নিজের অনশনের ছবি দিলেন না?

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE