অমেঠীতে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা। শনিবার। ছবি: পিটিআই।
মাঠে নামছেন মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে। নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপিকে নিশানা করছেন হিন্দুত্ব ও হিন্দুত্ববাদ নিয়ে।
এক সপ্তাহ আগে জয়পুরে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে জনসভায় রাহুল গাঁধী হিন্দুত্ব ও বিজেপির হিন্দুত্ববাদের ফারাক বুঝিয়েছিলেন। আজ গাঁধী পরিবারের পুরনো গড় অমেঠীতে সেই মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে পদযাত্রা করেও রাহুল গাঁধী ফের ‘হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদী’-র মধ্যে ফারাক বোঝানোর চেষ্টা করলেন।
কাশী বিশ্বনাথ ধামে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীর গঙ্গাস্নানের দিকে আঙুল তুলে আজ রাহুল বলেন, ‘‘হিন্দুত্ববাদী একা গঙ্গায় স্নান করেন। হিন্দুরা কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে গঙ্গাস্নান করেন। হিন্দুরা সত্যাগ্রহের পক্ষে। হিন্দুত্ববাদীরা ক্ষমতা বা সত্তার জন্য ‘সত্তাগ্রহ’র পক্ষে। হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদীর মধ্যে ফারাক হল, এক দিকে সত্য, অন্য দিকে মিথ্যে। এক দিকে ভালবাসা, অন্য দিকে হিংসা। এক দিকে মহাত্মা গাঁধী, অন্য দিকে নাথুরাম গডসে। একজন হিন্দু, অন্য জন হিন্দুত্ববাদী।’’
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে আজ রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা আজ এক সঙ্গে কংগ্রেসের পদযাত্রায় মাঠে নেমেছেন। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো আমজনতার সমস্যা নিয়ে মাঠে নেমে রাহুল বারবার হিন্দুত্ব-হিন্দুত্ববাদীর প্রসঙ্গ তুলে আনার পরে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, এর ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে না তো! সাধারণ মানুষকে এই হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদী বিজেপি-আরএসএসের মধ্যে ফারাক বোঝানো যাবে?
রাহুল-ঘনিষ্ঠ শিবিরের পাল্টা যুক্তি, বিজেপি যে ভাবে পুরো হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক নিজের ঝোলায় পুরতে চাইছে, সেখানে বিজেপি-আরএসএসের সঙ্গে হিন্দুত্বের ফারাক দেখানো ছাড়া আর উপায় নেই। বিজেপি ও হিন্দুত্বের মধ্যে ফারাক করতে না পারলে শেষ পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো সব সমস্যাই বিজেপি হিন্দুত্ব দিয়ে ধামাচাপা দিয়ে দেবে। রাহুল এর আগে বিজেপির হিন্দুত্বের মোকাবিলা করতে মন্দিরে গিয়ে নরম হিন্দুত্বের কৌশল নিয়েছিলেন। কিন্তু ঘুরপথে গিয়ে লাভ নেই। সরাসরি নিশানা করাটাই একমাত্র লক্ষ্য।
রাহুল অবশ্য আজ হিন্দু-হিন্দুত্ববাদীর ফারাকের সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের সমস্যাকেও জুড়তে চেয়েছেন। রাহুল বলেন, ‘‘মোদীজি বলেন তিনি হিন্দু। কিন্তু সত্যের রক্ষা করেছেন কি? বলেছিলেন, বছরে ২ কোটি চাকরি হবে। হয়নি। থালা বাজালে কোভিড চলে যাবে। যায়নি। তা হলে হিন্দু না হিন্দুত্ববাদী?’’ হিন্দুত্ববাদীরাও মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের জন্য দায়ী বলে অভিযোগ তুলে রাহুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী গঙ্গাস্নান করবেন। কিন্তু বেকারত্বের কথা উচ্চারণ করবেন না। রাহুলের সুরে প্রিয়ঙ্কাও বলেন, ‘‘সবারই ধর্ম, বিশ্বাস থাকে। কেউ তা দেখায় না। সবাই সেই ধর্মকে কাজে লাগায় না।’’
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ঘরের মাঠ অমেঠীতে স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যাওয়ার পরে এটা রাহুলের দ্বিতীয় অমেঠী সফর। পদযাত্রা ও জনসভায় উপচে পড়া ভিড়ের সামনে রাহুল বলেছেন, ২০০৪-এ রাজনীতিতে আসার পর অমেঠীর মানুষই তাঁকে কাজ শিখিয়েছেন। রাজনীতির রাস্তা দেখিয়েছেন। অমেঠীর মানুষের স্নেহ-ভালবাসার জন্য তাঁদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন রাহুল। এ দিনের সভার পরে ২০২৪-এ ফের রাহুল অমেঠী থেকে ভোটে লড়বেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy