পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণা করে এক এক দিনে তিন থেকে পাঁচ কোটি টাকা রোজগার হত। — ফাইল ছবি।
প্রায় ১০০ জনকে প্রতারিত করে কোটি টাকারও বেশি হাতানোর অভিযোগ। এই ঘটনায় জড়িত চক্রের হদিস পেয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। প্রতারণার টাকা কি চিনে পাঠানো হত? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ সেজে ওই দলটি প্রতারণা করত। মুম্বইয়ের পুলিশ আধিকারিক সেজে ওই দলের সদস্যেরা ফোন করতেন। মূলত মহিলাদেরই নিশানা করতেন তাঁরা। ফোন করে বলতেন, ওই মহিলার নামে একটি মাদকের প্যাকেট পেয়েছেন। তার পর ওই মহিলাকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলতেন। ডাউনলোড করার প্রক্রিয়ার স্ক্রিনশট তুলে পাঠাতে বলতেন।
ওই স্ক্রিনশটের মাধ্যমেই মোবাইলের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে নিতেন প্রতারকেরা। মোবাইল ফোনের অ্যাকসেস নিয়ে নিতেন তাঁরা। এর পর ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। মুম্বই, পুণে, পিম্পড়ি চিঞ্চওয়াড়, হায়দরাবাদ, দিল্লি, কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহরে এই প্রতারক দলটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
এই চক্রের মাথা হলেন শ্রীনিবাস রাও দাদি। তাঁকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। চক্রের বাকি চার জনকে কলকাতা, মুম্বই, হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণা করে এক এক দিনে তিন থেকে পাঁচ কোটি টাকা রোজগার করতেন শ্রীনিবাস। মুম্বইয়ের ডিসিপি অজয় কুমার বনসল জানিয়েছেন, ভারতীয়দের থেকে টাকা হাতিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে চিনে পাঠানো হত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy