প্রতীকী ছবি।
নির্ধারিত সময়েই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাটা শুরু হয়েছিল। প্রশ্নপত্রও বিলি করা হয়ে গিয়েছিল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর সেটা উল্টে-পাল্টে দেখতে গিয়েই পরীক্ষার্থীদের চোখ আটকে যায় একটি প্রশ্নে। তা হলে কী…!
হ্যাঁ, ঠিকই দেখেছিলেন তাঁরা।
ঘটনাটা ঠিক কী?
রবিবার গুজরাতের গাঁধীনগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন-এর কেরানি পদের পরীক্ষা ছিল। প্রশ্নপত্র হয়েছিল মাল্টিপল চয়েস। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু সেই প্রশ্নপত্রের মধ্যেই একটি প্রশ্ন ছিল পতিদার নেতা হার্দিক পটেলকে নিয়ে। একটি প্রশাসনিক পরীক্ষায় এমন একজন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে প্রশ্ন হওয়াতেই তুমুল শোরগোল পড়ে যায় গুজরাতে।
আরও পড়ুন: নীতীশ এবং বিজেপির আসন রফা
প্রশ্নটা ছিল ঠিক এই রকম— ‘হার্দিক পটেলের অনশন ভাঙাতে কোন নেতা তাঁকে জল খাইয়েছিলেন?’ অপশন দেওয়া ছিল চারটে— শরদ যাদব, শত্রুঘ্ন সিনহা, লালুপ্রসাদ যাদব এবং বিজয় রূপাণী। আর এই প্রশ্নকে ঘিরেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।
একটি প্রশাসনিক স্তরের পরীক্ষায় এ রকম প্রশ্ন কী ভাবে সম্ভব হল? এ বিষয়ে গাঁধীনগরের মেয়র প্রবীণভাই পটেল অবশ্য সরাসরি দায় ঝেড়ে ফেলেছেন। তাঁর দাবি, এই পরীক্ষার সঙ্গে গাঁধীনগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন-এর কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধিই জড়িত নন। গুজরাত টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: তেলঙ্গানায় ভোটার তালিকা নিয়ে ক্ষোভ
এই মুহূর্তে হার্দিক গুজরাতের অন্যতম ‘মুখ’ পতিদার নেতা হার্দিক। পতিদার সম্প্রদায়ের সংরক্ষণের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষা, চাকরিতে সংরক্ষণ আদায়ের দাবিতে গত ২৫ অগস্ট থেকে অনশন শুরু করেন। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে নির্জলা অনশন শুরু হয় তাঁর। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অনশনকালীন হার্দিকের সঙ্গে অনেক নেতাই দেখা করতে যান। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শরদ যাদব, শত্রুঘ্ন সিনহা-সহ বেশ কয়েক জন। ৮ সেপ্টেম্বর হার্দিকের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে যান শরদ যাদব। সেখানেই তিনি হার্দিককে জল খাওয়ান। তার পরেও ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যান হার্দিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy