প্রতীকী চিত্র।
বেজিংয়ের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াডের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ভারত, জাপান, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত এই চতুর্দেশীয় অক্ষের বৈঠকেই কোভি়ডের টিকাকরণ নিয়ে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন দেশে ২০২২ সালের মধ্যে কোভিড টিকাকরণের উদ্যোগ নিতে চাইছে কোয়াডের সদস্যরা। টিকাকরণের জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডো়জ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় টিকা তৈরি করা হবে ভারতে। এই টিকা তৈরির জন্য ভারতে লগ্নির সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
টিকা তৈরিতে বিশ্বে প্রথম সারিতে রয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে কোভিড টিকা সরবরাহ করেছে ভারত। টিকা দৌত্যে চিনকে অনেকটাই পিছনে ফেলেছে ভারত। কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় টিকা সরবরাহের মাধ্যমে সেখানকার দেশগুলিকে আরও কাছে টানতে চায় চিন। ওই এলাকায় বেজিংকে টিকা কূটনীতিকে রুখতেই চতুর্দেশীয় অক্ষের এই প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছে। সে জন্যই টিকা তৈরির কেন্দ্র হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভারতকে। এ নিয়ে বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ‘‘আজকের প্রেক্ষিতে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার দেশগুলিতে সরবরাহের জন্য টিকার উৎপাদন হবে ভারতে। তা তৈরি এবং সরবরাহের জন্য আর্থিক সাহায্য করবে আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া।’’
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে তৈরি হয়েছিল এই চতুর্দেশীয় অক্ষ। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের দাপাদাপি রোখা এবং কৌশলগত আদানপ্রদান বাড়ানোর জন্য ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং আমেরিকা এক হয়েছিল এই অক্ষ তৈরিতে। কোভিড পরবর্তী সময়ে শক্তিধর এই চার রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক এই এলাকার কূটনীতিতে এক অন্যমাত্রা যোগ করল।
শুধু করোনার টিকা সরবরাহ নয়। আবহাওয়া পরিবর্তন, উচ্চ প্রযুক্তির বিষয়গুলি নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকারি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে এই বৈঠক ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম এ রকম গুরুত্বপূর্ণ বহুপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিলেন তিনি। পূর্ব লাদাখে চিনা আগ্রাসনের বিষয়টিও উঠে এসেছিল এই বৈঠকে। এই বৈঠকে প্রত্যাশিতভাবেই নাম না করে চিনকে নিশানা করেছিল চার শক্তিধর রাষ্ট্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy