সেনাবাহিনীতে নিয়োঘের ক্যাম্পের বাইরে কাশ্মীরি যুবকদের লাইন। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে
পুলওয়ামায়জঙ্গি হানার স্মৃতি এখনও তরতাজা। কিন্তু উপত্যকায় সাধারণ যুবকদের মনোবলে বিন্দুমাত্র চির ধরেনি, বরং বেড়েছে, তার প্রমাণ ফের পাওয়া গেল সেনাবাহিনীতে নিয়োগের একটি ক্যাম্পে। মাত্র ১১১টি শূন্যপদের জন্য বারামুলার একটি ক্যাম্পে লাইন দিলেন প্রায় ২৫০০ যুবক। তাঁদের অধিকাংশেরই বক্তব্য, ‘পরিবারকে বাঁচানোর পাশাপাশি, দেশের সেবা করতে চাই’।
গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পর সারা দেশের সঙ্গে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সোচ্চার হয়েছে গোটা উপত্যকাও। পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত এবং জঙ্গিদের চরম শাস্তির দাবিতেও মিছিল-বিক্ষোভ হয়েছে শ্রীনগর-সহ বিভিন্ন জায়গায়। তার জেরে একাধিক জায়গায় কার্ফু জারিও করতে হয়েছে। তবে এখন উপত্যকা অনেকটাই শান্ত। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন।
স্থিতাবস্থা ফিরতেই মঙ্গলবার বারামুলায় ১১১টি বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ক্যাম্পের আয়োজন করে ভারতীয় সেনা। সেই ক্যাম্পেই দেখা যায় সকাল থেকেই গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার কাশ্মীরি যুবক। লাইনে দাঁড়ানো এক যুবক বলেন, ‘‘কাশ্মীরে এমনিতেই কাজের সুযোগ খুব কম। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে আমরা দেশের সেবা করতে পারব। সেই সঙ্গে পরিবারেও কিছুটা স্বচ্ছ্লতা আসবে।’’
#WATCH Queues seen at an Army recruitment drive for 111 vacancies in Baramulla earlier today. #JammuAndKashmir pic.twitter.com/BJFbHmBcaL
— ANI (@ANI) February 19, 2019
ভারতের অস্ত্রভাণ্ডার সম্পর্কে কতটা জানেন, পরখ করে নিন জ্ঞানভাণ্ডার
আরও পডু়ন: সন্ত্রাসবাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে রাজি সৌদি, বললেন মোদী
বেকার সমস্যায় জর্জরিত জম্মু-কাশ্মীর। সারা দেশের চেয়েও উপত্যকায় বেকারত্বের হার বেশি। এই অবস্থায় সেনাবাহিনীতে নিয়োগ অধিকাংশ যুবকের কাছেই সুবর্ণ সুযোগ। চাকরিপ্রার্থী এক যুবক যেমন বললেন, ‘‘এটা আমাদের কাছে বিরাট সুযোগ। আমরা চাই সেনাবাহিনীতে কাশ্মীরি যুবকদের জন্য আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করুক সরকার।’’
বেকারত্ব এবং তার জেরে অভাব-অনটনের সুযোগ নিয়ে উপত্যকার অল্পবয়সী যুবকদের অনেকেরই মগজ ধোলাই করে জঙ্গিরা তাদের দলে নাম লেখায় বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কাশ্মীরিদের একটা অংশ জঙ্গিদের সমর্থন করেন বলেও অভিযোগ ওঠে নানা শিবির থেকে। লাইনে দাঁড়ানো যুবকরা অবশ্য উল্টোটাই মনে করেন। ক্যাম্পের বাইরে অপেক্ষারত এক যুবক বলেন, ‘‘এখানকার যুবকদেরই যদি বেশি করে উপত্যকায় নিয়োগ এবং পোস্টিং দেওয়া হয়, তা হলে অনেক সুবিধা হবে। স্থানীয়দের ভাবাবেগ, ভাষা, দাবিদাওয়া বুঝে সেই মতো পদক্ষেপ করতে পারব আমরা।’’
আরও পড়ুন: জুতো পরেই জওয়ানের শেষকৃত্যে নেতামন্ত্রীরা! ক্ষুব্ধ জনতার চাপে জুতো খুলে চাইলেন ক্ষমা
২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উপত্যকায় ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সের যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ২৪.৬ শতাংশ, যা ওই সময় কেন্দ্রীয় হারের চেয়েও বেশি। বর্তমানেও সেই পরিস্থিতির খুব একটা হেরফের হয়নি। আবার ২০১৭ সালে জম্মু কাশ্মীর সরকারের একটি অর্থনৈতিক সমীক্ষায় উঠে আসে, উপত্যকায় বেকারত্বের হার বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ সরকারি তথা প্রশাসনিক সহযোগিতার অভাব। নিয়োগে স্বচ্ছতার অভাবও অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে আসে ওই সমীক্ষায়।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy