কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় লখনউয়ে কংগ্রেসের দফতরে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার নীরবতা পালন। ছবি: পিটিআই ।
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতিতে নীরবতা পালন করে সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করলেন প্রিয়ঙ্কা বঢরা গাঁধী।
এর পর সনিয়া-কন্যা বললেন, ‘‘এই সময়টা রাজনৈতিক আলোচনার জন্য ঠিক নয়। যে সব পরিবার তাঁদের সন্তানকে হারালেন, যে স্ত্রী হারালেন তাঁর স্বামীকে, যে সন্তান হারাল তার বাবাকে, যে অভিভাবকেরা হারালেন তাঁর পুত্রকে, সকলের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল। তাঁদের একটি কথাই বলতে চাই, এই চরমতম দুঃখের সময় তাঁদের পাশে আছি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আছি।’’ এর পর একটি বিবৃতিও পড়ে শোনান প্রিয়ঙ্কা। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘প্রিয়জনে হারানোর ব্যথা অনুভব করতে পারি। শুধু কংগ্রেস নয়, গোটা দেশ নিহতদের পরিবারর পাশে রয়েছে।’’
তবে গত কয়েকদিনের মতো আজও ব্যস্ততার খামতি ছিল না ‘মিশন উত্তরপ্রদেশে’। ছোট ছোট দল জুড়ে একদিকে যেমন কংগ্রেসের শক্তি বাড়াচ্ছেন, তেমনই উত্তরপ্রদেশে বিরোধী জোটে কংগ্রেসের ভাগ বাড়াতে চাপও তৈরি করছেন।
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা সম্পর্কে এগুলি জানেন? খেলুন কুইজ
আরও পড়ুন: রাস্তায় পড়ে নিহতদের ব্যাগ-রুকস্যাক, কান্না চেপে সেগুলো কুড়চ্ছেন সেনারা
কুর্মি সমাজের নেতা কেশব দেব মৌর্যের ‘মহান দল’কে গতকালই সঙ্গে নিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। বিজেপির মুজফ্ফরনগর জেলার বিজেপি বিধায়ক অবতার সিংহ ভড়ানাকেও কংগ্রেসে এনেছেন আজ। সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী রামলাল রাহীকেও। সমাজবাদী ছেড়ে অখিলেশ যাদবের ‘চাচা’ শিবপালও দেখা করতে চাইছেন প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে। ফোনে তাঁদের কথাও হয়েছে। প্রিয়ঙ্কার নির্দেশে কংগ্রেসের দুই নেতা আসন নিয়েও কথা বলছেন শিবপালের সঙ্গে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আজ রাহুলের সঙ্গে ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে প্রিয়ঙ্কার। উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি কেন্দ্রে শিবপালের ভাল প্রভাব আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন কেন্দ্রে অখিলেশের ভোটেও ভাগ বসাতে পারেন তিনি। কংগ্রেসের একটি অংশ প্রস্তাব দিচ্ছে, সপা-বসপা ৩০টি আসনে লড়ুক, কংগ্রেসকে দেওয়া হোক ১৮টি। অজিত সিংহের দল লড়বেন দু’টিতে। কিন্তু সপা এখনও এই প্রস্তাবে রাজি নয়। মায়াবতীকেও এই প্রস্তাবে রাজি করা ‘দুষ্কর’ বলে আপাতত মনে হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেসের আশা, মায়া-অখিলেশ যখন দেখবেন, রাহুল-প্রিয়ঙ্কা জুটি তাঁদের ভোটব্যাঙ্কেই ভাগ বসাচ্ছেন, আরও আসন দিতে বাধ্য হবেন তাঁরা।। শিবপালকে সামনে রেখে সেই দর কষাকষি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে রাজ্যের জট সমস্যা নয়, দাবি মমতার
কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা আজ এ-ও বলেন, “লোকসভা ভোটের সময় প্রিয়ঙ্কা যাতে জেলায় জেলায় ঘুরে দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে পারেন, তার জন্য তাঁকে প্রার্থী না করার কথাই ভাবা হচ্ছে। তিনি বরং বিধানসভার সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে দলের ‘মুখ’ হবেন, যেমন রাহুল গাঁধী এখন প্রধানমন্ত্রী পদের ‘মুখ’। শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, অন্য রাজ্যেও প্রিয়ঙ্কার ক্যারিশমাকে কাজে লাগানো হতে পারে। আগামিকালই তাঁর মুম্বইয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেটি অবশ্য আপাতত বাতিল হয়েছে।”
চলতি মাসের ২৬ তারিখেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক আছে আমদাবাদে। সাধারণ সম্পাদক (পূর্ব উত্তরপ্রদেশ) হিসেবে সেখানে প্রথমবার যোগ দেবেন প্রিয়ঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy