Advertisement
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Hassan Nasrallah death

হিজ়বুল্লা নেতার হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কাশ্মীরে

রাজনীতিকদের মতে, গোটা জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় ৭-৮ শতাংশ শিয়া। ফলে ইরানের মদতে পুষ্ট শিয়া সংগঠন হিজ়বুল্লার প্রধানের মৃত্যুতে কাশ্মীরিদের একাংশের এই ধরনের প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক নয়।

হিজ়বুল্লা নেতা হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নামলেন কাশ্মীরিদের একাংশ।

হিজ়বুল্লা নেতা হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নামলেন কাশ্মীরিদের একাংশ। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শ্রীনগর ও কাঠুয়া শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০০
Share: Save:

লেবাননে ইজ়রায়েলি হামলায় হিজ়বুল্লা নেতা হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নামলেন কাশ্মীরিদের একাংশ। পাশাপাশি নাসরাল্লার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে এক দিন জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভোটের প্রচার বন্ধ রাখলেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। নাসরাল্লাকে ‘শহিদ’ তকমাও দিয়েছেন তিনি। পশ্চিম এশিয়ার কোনও সংগঠনের নেতার হত্যার প্রতিবাদে সম্ভবত প্রথম বার এই ধরনের বিক্ষোভ দেখল কাশ্মীর। অন্য দিকে জম্মুতে কাঠুয়ার নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও বক্তৃতা শেষ করেন তিনি। পরে খড়্গেকে ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

গত কাল লেবাননে তাদের সেনাবাহিনীর হামলায় নাসরাল্লার মৃত্যুর কথা জানিয়েছে ইজ়রায়েল। আজ সেই ঘটনার প্রতিবাদে পুরনো শ্রীনগর, বডগাম ও অন্যান্য এলাকায় পথে নামেন কাশ্মীরিদের একাংশ। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি সমাজমাধ্যমে জানান, ‘‘লেবানন ও গাজ়ার শহিদদের, বিশেষত হাসান নাসরাল্লার প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে আগামিকাল প্রচার বন্ধ রাখছি। প্যালেস্টাইন ও লেবাননের বাসিন্দাদের এই প্রবল শোক ও প্রতিরোধের মুহূর্তে তাঁদের পাশে আছি।’’

রাজনীতিকদের মতে, গোটা জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় ৭-৮ শতাংশ শিয়া। ফলে ইরানের মদতে পুষ্ট শিয়া সংগঠন হিজ়বুল্লার প্রধানের মৃত্যুতে কাশ্মীরিদের একাংশের এই ধরনের প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক নয়। প্রচার বন্ধ রেখে শিয়া সম্প্রদায়ের পাশে থাকার বার্তা দিতে চাইছেন মেহবুবা।

এ দিন নির্বাচনী প্রচারের জন্য জম্মুর বিল্লাওয়ারায় পৌঁছতে পারেননি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। এ নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্র রবীন্দ্র শর্মার দাবি, বিল্লাওয়ারায় সভার স্থান থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে একটি নির্জন এলাকায় প্রিয়ঙ্কার কপ্টার নামার ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। প্রিয়ঙ্কার কপ্টার সেখানে নামতেই পারেনি। কংগ্রেসের দাবি, নির্লজ্জ ভাবে ‘অন্তর্ঘাত’ করে প্রিয়ঙ্কার সভা ভন্ডুল করেছে প্রশাসন। তবে বিশনাহ কেন্দ্রে জনসভা করেছেন প্রিয়ঙ্কা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘শেষ ১০ বছরে এই অঞ্চল নজিরবিহীন সঙ্কটে পড়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE