সান্ত্বনা: মারা গিয়েছেন মায়াবতীর মা রামরতি দেবী। রবিবার মায়ার কাছে গেলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। পিটিআই।
২০০৪-এর লোকসভা ভোটের আগে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারকে হটাতে বদ্ধপরিকর সনিয়া গাঁধী গোলাপি ফুলের তোড়া হাতে সাতসকালে মায়াবতীর বাড়ির দরজায় কড়া নেড়েছিলেন। দিনটা ছিল বিএসপি নেত্রীর জন্মদিন। তার কিছু দিন পরে দুই নেত্রীর নৈশভোজে বৈঠক হয়েছিল আড়াই ঘণ্টা।
সনিয়ার পথেই হেঁটে তাঁর কন্যা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা আজ মায়াবতীর মায়ের মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে পৌঁছে গেলেন বিএসপি নেত্রীর বাড়িতে। শনিবার মায়াবতীর মা রামরতি দেবীর মৃত্যু হয়েছে। তার পরেই প্রিয়ঙ্কা টুইট করে শোকবার্তা জানান। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সনিয়া-রাহুলও ফোনে মায়াবতীর সঙ্গে কথা বলেছেন। রবিবার সকালে প্রিয়ঙ্কা নিজেই ত্যাগরাজ মার্গে মায়াবতীর বাড়িতে পৌঁছে যান। সঙ্গে ছিলেন হরিয়ানার সাংসদ দীপেন্দ্র সিংহ হুডা।
২০০৪-এর লোকসভা ভোটের আগে সনিয়া, মায়াবতীর বৈঠক হলেও কংগ্রেস, বিএসপি-র মধ্যে রাজনৈতিক সন্ধি হয়নি। আবার ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে ২০১৮-এ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সনিয়া-মায়াবতীর আলিঙ্গন সত্ত্বেও রাজনৈতিক সমীকরণ বদলায়নি। বরং গত কয়েক বছরে ‘মায়াবতী আদতে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছেন’ মন্তব্য করে প্রিয়ঙ্কা বিএসপি-কে বিজেপির বি-টিম আখ্যা দিয়েছেন। মায়াবতীও প্রিয়ঙ্কার কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের ঘোষণার পরে আক্রমণ শানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মায়াবতীর বাড়িতে প্রিয়ঙ্কা যাওয়ার পরে নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মায়াবতী প্রিয়ঙ্কাকে ধন্যবাদ জানানোয় প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, তিনি পরে আবার আসবেন। মায়াবতীর বাড়িতে যাওয়ার ছবি-ভিডিয়ো কংগ্রেসের তরফেই প্রচার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত সৌজন্যের গণ্ডি পেরিয়ে কোনও পক্ষই একে এখনই রাজনৈতিক সন্ধির পূর্বাভাস বলে মানতে নারাজ। কিন্তু রাজনীতি যে সম্ভাবনার শিল্প, সে যুক্তিও কেউ উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে প্রিয়ঙ্কা আজ পরে বলেন, উত্তরপ্রদেশের সব আসনে কংগ্রেস একাই লড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy