২০০৮ সাল থেকেই এইমস-এ চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। —ফাইল চিত্র।
প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা বেশ কয়েক বারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন আজ দুপুর ১২টা ১০ নাগাদ নয়াদিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর সময়ে স্ত্রী দীপা দাশমুন্সি এবং পুত্র মিছিল তাঁর পাশে ছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০০৮ সালে মহানবমীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দেশের তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। তাঁকে দ্রুত পশ্চিমবঙ্গের কালিয়াগঞ্জ থেকে নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু প্রিয়রঞ্জনের সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। পরে তাঁকে এইমস থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল দিল্লিরই ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে। আজ সেখানেই তিনি প্রয়াত হলেন।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতি প্রার্থী হিসাবে রাহুলের নাম ঘোষণা এআইসিসির
অসুস্থ হওয়ার থেকে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। প্রথম কিছু দিন কোমায় ছিলেন তিনি। পরে চিকিৎসকরা তাঁকে কোমা থেকে বার করে আনতে পেরেছিলেন। কিন্তু প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির চেতনা আর পুরোপুরি ফেরানো যায়নি। তাঁর জ্ঞান ফিরেছিল ঠিকই। কিন্তু বাকশক্তি বা স্মৃতি আর ফেরেনি। কোনও বিষয়েই কোনও প্রতিক্রিয়া বা অভিব্যক্তি প্রকাশের শক্তি তাঁর ছিল না।
দীর্ঘ অসুস্থতার জেরে রাজনীতির ময়দানে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও প্রিয়রঞ্জন নিজের অনুগামীদের মধ্যে সমান জনপ্রিয় ছিলেন, শোকবার্তায় লিখেছেন সনিয়া। —ফাইল চিত্র।
ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের তরফে এক প্রেস বিবৃতি দিয়েই এ দিন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ করা হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মাসখানেক ধরে প্রিয়বাবুর অসুস্থতা বেড়েছিল। ৭২ বছরের রাজনীতিক আর সেই অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে পারলেন না।
প্রিয়রঞ্জনের মৃত্যুতে কংগ্রেসের তরফে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। ‘‘প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির প্রয়াণে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। তাঁর বিভিন্ন অবদানের জন্য, বিশেষত ভারতীয় ফুটবলে তাঁর অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’’ এক বিবৃতিতে এ কথাই লেখা হয়েছে এআইসিসি-র তরফে। প্রিয়রঞ্জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্যতায় বিশ্বে তৃতীয় মোদী সরকার, বলছে রিপোর্ট
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৩টে নাগাদ প্রিয়রঞ্জনের দেহ জাতীয় কংগ্রেসের সদর দফতর ২৪ আকবর রোডে নিয়ে যাওয়া হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সেখানেই অন্তিম শ্রদ্ধা জানাবেন প্রয়াত নেতার মরদেহে।
এআইসিসি-র শোকবার্তার পরে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর তরফে আলাদা করে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। প্রবীণ নেতার প্রয়াণে শোক ব্যক্ত করে সনিয়া বলেছেন, প্রিয়রঞ্জনের মৃত্যু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। কংগ্রেস সভানেত্রীর কথায়, দীর্ঘ অসুস্থতা সত্ত্বেও নিজের অনুগামীদের কাছে প্রিয়রঞ্জন একই রকম জনপ্রিয় ছিলেন। তৃণমূল স্তরের জন্য প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির কাজ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে সনিয়া গাঁধী লিখেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy