Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Chief Election Commissioner

Chief Election Commissioner: কী কারণে তলব মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে

আইন মন্ত্রক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও তাঁর দুই সহকারীকে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে ডাকা একটি বৈঠকে (গত ১৬ নভেম্বর) থাকতে বলে চিঠি দিয়েছিল।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৩৬
Share: Save:

পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র ও দুই নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ও অনুপ চন্দ্র পাণ্ডেকে বৈঠকে ডেকে বিতর্ক বাধালেন প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের কর্তারা। নির্বাচন কমিশনের মতো স্বাধীন সংস্থার প্রধানকে কী ভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক আমলা ডেকে পাঠাতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। নির্বাচনী সংস্কারের লক্ষ্যেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলে মোদী সরকার ব্যাখ্যা দিলেও বিরোধী এবং প্রাক্তন নির্বাচনী কমিশনারদের মতে, খোদ প্রধানমন্ত্রীরও নির্বাচন কমিশনারদের বৈঠকে ডেকে পাঠানোর ক্ষমতা নেই।

আইন মন্ত্রক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও তাঁর দুই সহকারীকে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে ডাকা একটি বৈঠকে (গত ১৬ নভেম্বর) থাকতে বলে চিঠি দিয়েছিল। যে বৈঠকে থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি কে মিশ্রের। বৈঠকের মূল বিষয় ছিল, সব ভোটের জন্য একটিই ভোটার তালিকার ব্যবহার। যা বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও বটে। প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এস ওয়াই কুরেশির মতে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা হওয়ায় এ ভাবে তাদের বৈঠকে ডাকতে পারে না প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। কমিশন সূত্রের বক্তব্য, এ যাবৎ কোনও বিষয়ে আলোচনা করতে হলে অন্য মন্ত্রকের কর্তাদের ডেকে পাঠাতেন নির্বাচন আধিকারিকেরা। সে দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র ও তাঁর দুই সহযোগী ওই ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ না দিলেও, পরে পি কে মিশ্রের সঙ্গে ঘরোয়া ভাবে বৈঠক করেন।

এ ভাবে কমিশন কর্তাদের ডেকে নরেন্দ্র মোদী সরকার ইডি-সিবিআইয়ের মতো নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থাকেও ধ্বংস করতে তৎপর বলে আজ সরব হন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা তথা দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির কথায়, ‘‘পিএমও কী ভাবে সংবিধান স্বীকৃত একটি সংস্থার প্রধানকে এ ভাবে সমন পাঠায়? অবাধ নির্বাচন কী ভাবে হবে?’’ ডিএমকে নেতা তিরুচি শিবার মতে, ‘‘আশা করব, সাংবিধানিক, স্বাধীন সংস্থাগুলি সরকারের চাপে নতি স্বীকার করবে না। গণতন্ত্রের স্বার্থে তাদের সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকা প্রয়োজন।’’

গোটা ঘটনায অস্বস্তিতে পড়া মোদী সরকারের যুক্তি, নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশির মতে, ‘‘এ ধরনের বৈঠক সন্দেহ জাগানোর জন্য যথেষ্ট।’’ প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার টি এস কৃষ্ণমূর্তি বলেন, ‘‘কোনও আমলার ডাকা বৈঠকে থাকার প্রয়োজন পড়ে না নির্বাচন কমিশনের। যদি কিছু জানতেই হয়, কমিশনের কাছে লিখিত ভাবে জানতে চাইতে পারত সরকার।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Chief Election Commissioner Sushil Chandra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy