রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। —ফাইল চিত্র।
রামমন্দিরে রামলালার মূর্তিতে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’কে ভারতের ‘নিজস্ব সভ্যতার খোঁজে যুগান্তকারী পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতাতেও এ বার রামমন্দিরের কথা উঠে এল।
আজ রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় বলেন, ‘‘আমরা সবাই অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের জন্মস্থানে নির্মিত বিরাট মন্দিরে স্থাপিত মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সমারোহ দেখেছি। ভবিষ্যতে এর বিরাট প্রভাব দেখা যাবে। তখন ইতিহাসবিদেরা ভারতের নিজস্ব সভ্যতার খোঁজে নিরন্তর যুগান্তকারী আয়োজন হিসেবে একে উল্লেখ করবেন।’’
দু’দিন আগেই মোদী সরকার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। একে বিরোধী শিবিরের জাতগণনার দাবির মুখে পাল্টা চাল হিসেবে দেখা হচ্ছে। আজ রাষ্ট্রপতি কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘সামাজিক ন্যায়ের জন্য নিরন্তর যুদ্ধরত কর্পূরী ঠাকুরের জন্মশতবর্ষ পালন হয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণির সবথেকে মহান আন্দোলনকারী ছিলেন কর্পূরী ঠাকুর।’’
মোদী সরকারের মহিলা সংরক্ষণ আইন পাশ, ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ সম্মেলন আয়োজনের কথাও উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি। উঠে এসেছে চন্দ্রযানের সাফল্য প্রসঙ্গও। রাশিয়া-ইউক্রেন, ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘‘যখন দুই পরস্পরবিরোধী শিবিরের প্রত্যেকেই নিজেদের ঠিক বলে মনে করে, তখন আলোচনার আলোয় পথ খুঁজতে হয়। কিন্তু আলোচনার বদলে সন্ত্রাস ও প্রতিশোধের আগুনে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।’’ বিরোধীদের প্রশ্ন, রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিস্থিতির কথা এল। কিন্তু দেশের মধ্যে মণিপুরেও যে একই পরিস্থিতি, সেই প্রসঙ্গ এল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy