বাঁশের তৈরি সেই ‘স্ট্রেচার’। এতেই সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ ঝুলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রসূতিকে ছবি: সংগৃহীত।
খানাখন্দে ভরা রাস্তা পেরিয়ে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি অ্যাম্বুল্যান্স। তাই প্রসববেদনায় কষ্ট পাওয়া প্রসূতিকেই নিয়ে যাওয়া হল অ্যাম্বুল্যান্সের কাছে। বাঁশে ঝুলিয়ে প্রায় তাঁকে কাঁধে বয়ে আত্মীয়রা পৌঁছলেন পাকা রাস্তায়। প্রসূতির বাড়ি থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে সেখানেই এসে অপেক্ষা করছিল অ্যাম্বুল্যান্স। কেরলের এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনাটি কেরলের পলক্কড় এলাকার আট্টাপাড়ি তালুকের। ওই সন্তানসম্ভবা এক সাঁওতাল রমণী। নাম সুমতি মুরুকান। আট্টাপাড়ির সাঁওতাল পরগনায় বাড়ি তাঁর। সুমতির আত্মীয়দের কথায়, ‘‘চিকিৎসক জানিয়েছিলেন আগামী সপ্তাহে প্রসব হতে পারে। তাই কোনও প্রস্তুতি ছিল না। এই এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্স আসতে পারবে না, জানতাম। কিন্তু আগাম ব্যবস্থা করার কথা ভাবা ছিল।’’ কিন্তু সময়ের অনেক আগেই আচমকা ওই সন্তানসম্ভবা মহিলার প্রসববেদনা শুরু হওয়ায় বিপদে পড়েন আত্মীয়রা।
মাঝরাতে খবর দেওয়া হয় কাছেই কাদুকুমানা সাঁওতাল গ্রামের কোট্টাঠারা ট্রাইবাল স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। অ্যাম্বুল্যান্সও রওনা হয়। কিন্তু খারাপ রাস্তা পেরিয়ে গাড়িটি প্রসূতির বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। বাধ্য হয়েই দু’টি বাঁশে কম্বল বেঁধে তাতে ঝুলিয়ে এক রকম ঝুঁকি নিয়েই প্রসূতিকে নিয়ে পাকা রাস্তার দিকে রওনা হন আত্মীয়রা। জঙ্গল আর খানাখন্দে ভরা রাস্তা পেরিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের কাছে পৌঁছলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি।
সুমতির আত্মীয়রা জানিয়েছেন, মা এবং সন্তান দু’জনেই স্থিতিশীল। তবে দু’জনেই এখনও চিকিৎসাধীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy