Advertisement
E-Paper

বয়সনীতি মেনেই শীর্ষ কমিটি সিপিএমে

সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসে ৭৫ বছরের বেশি বয়সিদের পলিটবুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার নীতি মেনেই নতুন পলিটবুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক প্রকাশ কারাট।

প্রকাশ কারাট।

প্রকাশ কারাট। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৩৭
Share
Save

সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসে ৭৫ বছরের বেশি বয়সিদের পলিটবুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার নীতি মেনেই নতুন পলিটবুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক প্রকাশ কারাট।

তাঁর যুক্তি, এ বিষয়ে তিন বছর আগের পার্টি কংগ্রেসে দলীয় সংবিধানে সংশোধন করা হয়েছে। সেখানে পলিটবুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ৭৫ বছরে অবসরের সময়সীমা ঠিক হয়েছিল। কারাটের যুক্তি, গত পার্টি কংগ্রেসে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের জন্য ব্যতিক্রম করা হয়েছিল। সেটা ছিল একমাত্র ব্যতিক্রম। কারণ তিনি কেরলের বাম সরকারের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

প্রশ্ন উঠেছে, সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণের পরে সঙ্কটের পরিস্থিতিতে কি এ বারও ব্যতিক্রম করা হবে? কারণ ৭৫ বছরের বয়সসীমা মানলে আগামী এপ্রিলে মাদুরাই পার্টি কংগ্রেসে এক সঙ্গে প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, মানিক সরকার, সুভাষিণী আলি, পিনারাই বিজয়ন, সূর্যকান্ত মিশ্র, জি রামকৃষ্ণণের মতো অন্তত ৭ জনের একই সঙ্গে পলিটবুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার কথা। বিজয়নের রাজ্য কেরলে আগামী বছর ভোট। বাকিদের মধ্যে অনেকে ইয়েচুরির অনুপস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিতে পারতেন। সিপিএমের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালনকারী কারাটের মতে, নতুন পলিটবুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে সাধারণ সম্পাদক কে হবেন। দলের নেতারা অবশ্য মনে করছেন, ইয়েচুরির প্রয়াণের পরে বর্তমান পরিস্থিতিতে ৭৫ বছরের বয়সসীমা শিথিল করার জন্য পার্টি কংগ্রেসে চাপ তৈরি হবে। সেটা না হলে ৭৫ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে এম এ বেবি, বি ভি রাঘভুলু, মহম্মদ সেলিম, এ বিজয়রাঘবনরা সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে চলে আসবেন।

প্রকাশ কারাট আজ পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক খসড়া প্রকাশ করে বলেন, গত পার্টি কংগ্রেস থেকে সিপিএমের রাজনৈতিক লাইনে কোনও পরিবর্তন হয়নি। প্রথমত, সিপিএম নিজের রাজনৈতিক শক্তি বাড়ানোয় মন দেবে। দ্বিতীয়ত, বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে এককাট্টা করে বিজেপির বিরুদ্ধে বিকল্প তৈরির চেষ্টা করবে। তৃতীয়ত, ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে এককাট্টা করে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা হবে। তবে এ বার বিশেষ জোর দেওয়া হবে পার্টির নিজস্ব শক্তি বৃদ্ধির দিকে। গত পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক লাইনে তা বলা হলেও সিপিএম এ ক্ষেত্রে সফল হয়নি। এ বার তাই সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হবে মানুষের মধ্যে আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে পার্টির শক্তি বৃদ্ধিতে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Prakash Karat CPM

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}