মাদক খাইয়ে নাবালিকাদের যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু। — ফাইল ছবি।
কর্নাটকের চিত্রদুর্গের মুরুঘা মঠের হস্টেলের আবাসিক নাবালিকাদের মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে তাদের যৌন হেনস্থা করতেন মঠের প্রধান লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবমূর্তি মুরুঘা শরণারু। এই দাবিই রয়েছে আদালতে পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিটে। এই চার্জশিটে মূলত, নির্যাতিতা নাবালিকাদের বয়ান গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে পুলিশের তরফে সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত আরও অভিযোগ যদি কারও থাকে, তা নথিভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে।
লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী শিবমূর্তি শরণারুর বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরে মঠের মধ্যে নাবালিকাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। গত ২৬ অগস্ট, মঠ থেকে এক নাবালিকা পালিয়ে গিয়ে মাইসুরুর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দ্বারস্থ হয়। এর পরই মাইসুরু থানায় লিঙ্গায়েত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। পাঁচ দিন পর গ্রেফতার হন শিবমূর্তি। এর পরই পুলিশ মঠের হস্টেলের দায়িত্বে থাকা রশ্মি এবং অন্য একজনের বিরুদ্ধেও চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মধ্যে এই মঠের গুরুত্ব বিপুল। আবার কর্নাটকের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী লিঙ্গায়েতরা। ফলে কোনও রাজনৈতিক দলের তরফেই এই ঘটনা নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি। প্রসঙ্গত, শিবমূর্তি গত অগস্টে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে সম্প্রদায়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। রাজ্যের একাধিক বিজেপি নেতাও ভোটের আগে তাঁর আশীর্বাদ নিতে চিত্রদুর্গের মঠে ছুটতেন। সেই ব্যক্তিই বছরের পর বছর ধরে মঠের আবাসিক নাবালিকাদের যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে জেলে। পুলিশের চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, নাবালিকাদের মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করেই এই কীর্তি সারতেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy