রাজধানী দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলে ফাঁকা বাসের মধ্যে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের সেক্টর ১৭ এলাকায়। নির্যাতিতা ওই এলাকায় বেশ কিছু ফ্ল্যাটবাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময়েই বাসের চালক তাঁকে ধর্ষণ করেন। ঘটনায় অভিযুক্ত চালক এবং কন্ডাক্টরকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার কাজ শেষ করে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাড়ি ফেরার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ৫৬ বছর বয়সি ওই মহিলা। নির্যাতিতা পুলিশকে জানান, ওই সময়ে একটি সাদা রঙের বাস এসে থামে। তিনি বাসটিতে উঠে দেখেন কোনও যাত্রী নেই। কেবল বাসের চালক এবং কন্ডাক্টর ছিলেন। বাস কেন ফাঁকা, তা জানতে চাওয়ায় কন্ডাক্টর তাঁকে বলেন, পরে আরও যাত্রী উঠবেন।
এরই মধ্যে একটি ফাঁকা জায়গায় গিয়ে বাসটি থামে এবং সঙ্গে সঙ্গে বাসের সব জানালা বন্ধ করে দেন কন্ডাক্টর। অভিযোগ, এর পর মহিলাকে ধর্ষণ করেন চালক। কন্ডাক্টর সেই সময়ে বাসের বাইরে পথচারীদের দিকে নজর রাখছিলেন। পরে ওই মহিলাকে রাস্তার ধারে একটি জায়গায় নামিয়ে দেন অভিযুক্তেরা। মহিলার দাবি, ঘটনার কথা জানাজানি হলে ফল ভোগ করতে হবে বলেও তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা।
আরও পড়ুন:
পরে মহিলা থানায় গিয়ে ঘটনার কথা জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাসটিকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। শনাক্ত করা হয় অভিযুক্তদেরও। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা গুরুগ্রামের একটি পরিবহণ সংস্থার কর্মী। সেই সূত্র ধরে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ফরিদাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চালক তিন মাস ধরে ওই সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। কন্ডাকটরও মাস ছয়েক ধরে কাজ করছিলেন সংস্থায়। তাঁরা গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদ রুটে একটি বাস চালাতেন। ঘটনায় ব্যবহৃত ওই বাসটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
অতীতে ২০১২ সালে দক্ষিণ দিল্লিতে এক তরুণীকে বাসের মধ্যে গণধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। এ বার ফের এক বার রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চলে বাসের মধ্যে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল।