ঋণ আদায়ের জন্য দম্পতির বাড়িতে নিত্য যাতায়াত ছিল পেশায় ঋণ আদায়কারী যুবকের। মত্ত স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে সেই যুবকের সঙ্গেই পালিয়ে গেলেন স্ত্রী! সম্প্রতি বিহারের জামুই জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঋণ আদায়কারী ওই যুবকের সঙ্গে বিয়েও সেরে ফেলেছেন তরুণী। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর নাম ইন্দ্র কুমারী। গত ২০২২ সালে জামুইয়ের বাসিন্দা নকুল শর্মার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। নকুল মদ্যপ ছিলেন। প্রায়ই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। সে সময়েই পবনকুমার যাদবের সঙ্গে পরিচয় হয় ইন্দ্র কুমারীর। একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ আদায়কারী হিসাবে কাজ করতেন পবন। কাজের সূত্রেই নকুলদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল পবনের। সেই থেকেই আলাপ। ক্রমে আলাপ গড়ায় প্রেমে। এ ভাবে পাঁচ মাস চলার পর শেষমেশ গত ৪ ফেব্রুয়ারি পবনের হাত ধরেই বাড়ি ছাড়েন ইন্দ্র কুমারী!
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি ওই যুগলের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, মন্দিরে বিয়ে করছেন ওই তরুণ-তরুণী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে পালানোর পর পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে এক আত্মীয়ার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন যুগল। কয়েক দিন সেখানে থাকার পর জামুইয়ে ফিরে আসেন। সেখানে ফিরে মঙ্গলবার এক মন্দিরে বিয়ে সারেন তাঁরা। বিয়েও হয় রীতিমতো প্রথা মেনেই। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। কেউ তরুণীর পক্ষ নিয়েছেন, কেউ আবার মেতেছেন সমালোচনায়।
তবে পবনের পরিবার এই বিয়ে মেনে নিলেও বেঁকে বসেছে তরুণীর পরিবার। তারা পবনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছে। নবদম্পতিকে হুমকিও দিয়েছে। আপাতত এ সব থেকে বাঁচতে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন ওই যুগল।