জম্মু-কাশ্মীরে হামলার ছক কষছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসএআই। বিশেষ করে শ্রীনগর এবং গান্ডেরবালকে হামলাস্থল হিসাবে বেছে নিতে পারে জঙ্গিরা। নিশানায় এ বার রেল, কাশ্মীরি পণ্ডিত, পরিযায়ী শ্রমিক এবং পুলিশ। গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তার পরই কাশ্মীর জুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সাবসিডিয়ারি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (এসআইবি) এবং রেল সুরক্ষাবাহিনী, (আরপিএফ) উত্তর রেল-এর তরফে এক বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। আরপিএফের এক শীর্ষ আধিকারিক দাবি করেছেন, কাশ্মীরি নন এমন ব্যক্তি, পুলিশ, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিশানা বানানো হতে পারে। বিশেষ করে শ্রীনগর এবং গান্ডেরবালে।
আরও পড়ুন:
-
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে, নেয় সেনা প্রশিক্ষণও! গত বছর চার জঙ্গির সঙ্গে কাশ্মীরে ফেরে পহেলগাঁওকাণ্ডের চক্রী আদিল
-
নেহরু-গান্ধী পরিবারের মদতেই সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত! অভিযোগ, রাজস্থানের বিজেপি মন্ত্রী মদনের
-
আইপিএলের প্লে-অফের দৌড়ে এখনও ১০টি দলই, কাদের সামনে কী অঙ্ক, কী করলে প্রথম চারে কলকাতা?
সূত্রের খবর, গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় এক জঙ্গি হাশের পারে ওরফে হামজাকে বান্দিপোরায় রেললাইন ধরে যেতে দেখা গিয়েছে। বারামুলা জেলার ক্রিরি গ্রাম থেকে পাত্তানের দিকে যেতে দেখা যায় তাকে। জঙ্গিদের মদতকারী আরও একজন ছিল হামজার সঙ্গে। দু’জনেই সশস্ত্র ছিল বলে সূত্রের দাবি। আরপিএফের ওই সূত্রের দাবি, বিশ্বস্ত সূত্র এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, নিরাপত্তাবাহিনী এবং কাশ্মীরবাসী নন, এমন ব্যক্তিদের নিশানা বানাতে পারে জঙ্গিরা। আর এই হামলার ছক কষছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।
আরও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে যে, উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ কাশ্মীরে জঙ্গিরা সক্রিয় হচ্ছে। কাশ্মীরের বহিরাগত রেলশ্রমিকদের উপর হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আরপিএফ কর্মী এবং আধিকারিকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাঁরা প্রয়োজন ছাড়া আরপিএফ ব্যারাকের বাইরে না বেরোন। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়। সেই ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চলছে জঙ্গিদমন অভিযানও। তার মধ্যেই আরও এক সতর্কবার্তা এল।