Advertisement
০৯ নভেম্বর ২০২৪

ভেমুলার মৃত্যুর বদলার ছক বানচাল

পূর্ব গোদাবরী জেলার পুলিশ সুপার বিশাল গুন্নি জানিয়েছেন, ধৃত দুই ছাত্রের মধ্যে এক জন হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। অন্য জন সেখানকার প্রাক্তন ছাত্র।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:০৯
Share: Save:

হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে খুনের পরিকল্পনা বানচাল করল পুলিশ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রয়াত ছাত্র রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে উপাচার্য পি আপ্পা রাওকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ছাত্রকে।

পূর্ব গোদাবরী জেলার পুলিশ সুপার বিশাল গুন্নি জানিয়েছেন, ধৃত দুই ছাত্রের মধ্যে এক জন হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। অন্য জন সেখানকার প্রাক্তন ছাত্র। ধৃতদের নাম চন্দনকুমার মিশ্র এবং আঙ্কালা পৃথ্বীরাজ। চন্দনের বাড়ি কলকাতায়। পৃথ্বীরাজ তেলঙ্গানার কৃষ্ণা জেলার বাসিন্দা। ২০১৩ থেকে হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন চন্দন। স্নাতোকত্তরে ভর্তি হন তিনি। ২০১৬ সালে পৃথ্বীরাজের সঙ্গে তাঁর আলাপ এবং সেখান থেকে বন্ধুত্ব। পৃথ্বীরাজ আগে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র ছিলেন। বর্তমানে বিজয়ওড়ার একটি কলেজে আইন নিয়ে পড়ছেন তিনি। দু’জনই মাওবাদী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওই সংগঠনে যোগ দেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তেলঙ্গানার সীমানায় ভদ্রচলম-চারলা রোডের কাছে একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

২০১৬ সালে নিজের হস্টেলের ঘরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন রোহিত ভেমুলা। তাঁর মৃত্যু নিয়ে পরে বিস্তর বিতর্ক হয়। সেই মৃত্যুর বদলা নিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে মারার পরিকল্পনা করেছিল নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য পুল্লুরি প্রসাদ রাও ওরফে চন্দ্রন্না এবং তেলঙ্গানা স্টেট কমিটির সাধারণ সচিব হরিভূষণ ওরফে ইয়াপা নারায়ণ। পুলিশের দাবি, উপাচার্যকে মারলে চন্দনকে মাওবাদী সংগঠনের শীর্ষ স্থানে বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নারায়ণ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE