তেলঙ্গানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচারসভায় দেখা গিয়েছে তেলুগু চিত্রতারকা-রাজনীতিক পবন কল্যাণকে। ছবি: পিটিআই।
ঠিক এক মাস আগে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, আগামী বছর অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে তাঁর দল জনসেনা পার্টি। কিন্তু মঙ্গলবার তেলঙ্গানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচারসভায় দেখা গিয়েছে তেলুগু চিত্রতারকা-রাজনীতিক পবন কল্যাণকে! ঘটনার জেরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে অন্ধ্র রাজনীতিতে।
তেলঙ্গানার ভোটে চন্দ্রবাবুর দল টিডিপি প্রার্থী দেয়নি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-এর সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে কংগ্রেস এবং বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে পবনের জনসেনা বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে আটটি বিধানসভা আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার হায়দরাবাদে মোদীর সভায় হাজির হয়ে পবন বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে অনমনীয় অবস্থান নিয়েছে। তাই আমি বিজেপিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
অথচ গত ৫ অক্টোবর পবন এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন, অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারানোর জন্য আগামী বিধানসভা ভোটে টিডিপির সঙ্গে জনসেনা আসন সমঝোতা করবে। তিনি বলেন, ‘‘অন্ধ্রের উন্নয়নের জন্য সরকার বদল জরুরি। তাই এনডিএ ছেড়ে আমরা টিডিপির সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ ২০১৮ সালে চন্দ্রবাবু এনডিএ ছেড়ে বিরোধী জোটে শামিল হয়েছিলেন। তার পর থেকেই বিজেপি নেতৃত্ব টিডিপির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে চন্দ্রবাবুর কট্টর বিরোধী হিসাবে পরিচিত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এনটি রামা রাওয়ের কন্যা ডি পুরন্দেশ্বরীকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়েছে।
আগামী বছর লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে অন্ধ্রেও পবন ফের বিজেপির সহযোগী হতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, পবনের দাদা চিরঞ্জীবীও তেলুগু চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা। ২০০৯-এ ভোটের ঠিক আগে নিজের দল প্রজারাজ্যম পার্টি গড়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। পরে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। তবে বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন চিরঞ্জীবী।
দাদার সঙ্গে প্রজারাজ্যম পার্টির প্রচার করলেও পবন কখনও কংগ্রেসে যোগ দেননি। ২০১৯-এ বিধানসভা ভোটের আগে জনসেনা গড়ে আলাদা ভাবে লড়েছিলেন। কিন্তু দু’টি কেন্দ্রে লড়েও বিধায়ক হতে পারেননি। ১৭৫ আসনের অন্ধ্র বিধানসভায় মাত্র একটিতে জেতে তাঁর দল। তবে রাজ্যের অনগ্রসর কাপু জনগোষ্ঠীর মধ্যে পবনের প্রভাব রয়েছে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy