প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘ছ’বছরের নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ট নয়’। ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা পাওয়া সাংসদ-বিধায়কদের আজীবন ভোটে লড়ার উপর নিষেধাজ্ঞার দাবিতে দায়ের হওয়া মামলার রায় বৃহস্পতিবার ঘোষণা করতে পারে শীর্ষ আদালত। গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করার সুযোগ দেওয়া সংক্রান্ত ওই মামলার রায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের খবর।
গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত নেতাদের আজীবন ভোটে দাঁড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক— এই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি দায়ের হয়। গত সাত বছর ধরে মামলাটির শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত আদালত বান্ধব বিজয় হংসরিয়া তাঁর রিপোর্টে ছ’বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি তুলেছিলেন।
হংসরিয়া ওই রিপোর্টে প্রশ্ন তুলেছিলেন, এক জন সরকারি কর্মী ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে গেলে স্থায়ী ভাবে চা়করি থেকে বিতাড়িত হন। এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে সাজার মেয়াদ শেষের ছ’বছরের মধ্যেই আবার ভোটে লড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।’’ আদালত বান্ধবের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি সাজা ঘোষণার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারাবেন। এবং মুক্তির পর ছ’বছর পর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। অন্য দিকে, ১৯৫১ সালেরই ‘সর্বভারতীয় সরকারি কর্মচারি আইন’ জানাচ্ছে, দোষী সাব্যস্ত বলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীও স্থায়ী ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হবেন। হংসরিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই শ্রেণির অপরাধীদের ক্ষেত্রে দু’রকমের নিয়ম সাম্যের অধিকারের পরিপন্থী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy