বিতর্কিত প্রশ্ন ঘিরে আপাতত শিরোনামে পটনার ইন্দিরা গাঁধী ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ে করেছেন? আপনার কি একাধিক স্ত্রী রয়েছে? বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অন্যত্র ‘স্ত্রী’ রয়েছে? আপনার স্বামীর কি একাধিক স্ত্রী? আপনি কি ভার্জিন? এই প্রশ্নগুলির জবাব লিখিত ভাবে জানতে চেয়েছে বিহারের এক প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল।
পটনার ইন্দিরা গাঁধী ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (আইজিআইএমএস)-এ সদ্য চাকরি পাওয়া কর্মীদের জন্য একটি ফর্মও চালু করেছেন কর্তৃপক্ষ। তাতেই এ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য লিখিত ভাবে ঘোষণা করে জমা দিতে হবে। আর এটা ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন
হরিয়ানার এই ছাত্র গুগ্লে দেড় কোটির চাকরি পায়নি?
বিহারের সবচেয়ে বড় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল আইজিআইএমএস। ১৩৩ কোটি টাকা বাজেটের এই হাসপাতালে পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণারও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এ হেন প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল সম্প্রতি শিরোনামে এসেছে ওই ফর্মের বিতর্কিত প্রশ্নগুলির জন্য। তবে গোটা বিষয়ে নিরুত্তাপ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর এস কে শাহি বলেন, “কোনও ব্যক্তি বিবাহিত কি না তা জিজ্ঞাসা করাটা তো খুবই মামুলি বিষয়!” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, “ওই ফর্মে ‘ভার্জিনিটি’ সম্পর্কিত প্রশ্নটি সম্ভবত কারও দুষ্টুমি হতে পারে।” বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
নীতীশের মন্ত্রিসভার ২৯ মন্ত্রীর ২২ জনের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা!
এই ফর্ম ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবি: সংগৃহীত।
সেই তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একাধিক মহিলা সগংঠন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। হাসপাতাল সুপারিন্টেডেন্ট মণীশ মণ্ডলের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ওই ফরম্যাটের ফর্ম পেয়েছেন তাঁরা। এবং সেটাই চালু করা হয়েছে। যদিও মণীশ মণ্ডল স্বীকার করে নিয়েছেন যে এ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য জানাতে কোনও কর্মীর অস্বস্তি হতেই পারে। তবে এ বিষয়ে নিজের মত জানাতে গিয়ে আরও একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। সুপারিন্টেডেন্টের দাবি, ভবিষ্যতে কোনও কর্মী ধর্ষণের মামলায় জড়িয়ে পড়লে তাতে সাহায্য করবে ওই ‘ভার্জিনিটি’ সম্পর্কিত তথ্য। তবে কী ভাবে তা সাহায্য করবে সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন
শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনে ‘ভুল পথে’, শাহরুখকে আইনি নোটিস
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই ফর্মে যদি কোনও অদলবদলের প্রয়োজন হয় তা কেবলমাত্র সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই হতে পারে। কারণ, এ বিষয়ে তাঁদের হাত-পা বাঁধা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy