গ্রামের রাস্তায় কুমিরের পদচারণ।
সাত সকালে গ্রামের রাস্তায় পায়ে পায়ে এগিয়ে আসছে একটি কুমির। দু’পাশে বাড়ি। রাস্তা বলতে সরু একখানি গলি, পাড়ার ভিতর যেমন থাকে। কর্নাটকের কোগিলবান গ্রামের সেই গলি বেয়ে কুমিরের হামাগুড়ি দেওয়ার ওই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন কেউ। ভিডিয়োটি নেট মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে নির্ভয়ে গ্রামের রাস্তায় চলে বেড়াচ্ছে ওই কুমির। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে তার পিছন পিছন আসছে কৌতুহলী ভিড়। ভিডিয়োটি রেকর্ড করা হয়েছে মোবাইল ক্যামেরায় কুমিরের একেবারে সামনে থেকে। কিন্তু তাতেও বিশেষ হেলদোল নেই কুমিরটির। তেড়ে যাওয়ার কোনও লক্ষণও নেই। এমনকি সামনে হঠাৎ একটি রাস্তার কুকুর চলে এলেও সে দিকে ফিরে তাকায়নি কুমিরটি। বরং বেশ কিছুটা হেঁটে যাওয়ার পর রাস্তার এক পাশে একটু দম নিতে দু’দণ্ড জিরিয়ে নিয়েছে।
২৪ সেকেন্ডের ভিডিয়ো। তবে তা নেটমাধ্যমে দ্রুতগতিতে ছড়িয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিল ভিডিয়োটি। ওই ভিডিয়ো কয়েক ঘণ্টায় ৩৬ হাজার লাইক পেয়েছে। দেখেছেনও কয়েক লক্ষ ইউজার। কুমিরটির নির্লিপ্ত হাবভাবেই মজেছেন নেটাগরিকরা।
কেউ লিখেছেন ‘মিষ্টি কুমির! কুকুরটার দিকে ফিরেও তাকাল না। বোধ হয় ও নিরামিশাষী।’ কেউ আবার পুরনো হিন্দি সিনেমার গান উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘কুমিরটা ভাবছে— ইয়ে কাহা আ গয়ে হাম।’ হঠাৎ কুমিরের সামনে পড়ে যাওয়া কুকুরটিরও প্রশংসা করেছেন অনেকে। এক জন লিখেছেন, ‘কুকুরটা কিন্তু একটুও ভয় পেল না।’ কারও মন্তব্য, কুমির নয় আসলে কুকুরটিকেই উদ্ধার করার দরকার ছিল।
কুমিরটিকে এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই উদ্ধার করেছে বন দফতর। কর্নাটকের দান্দেলির ডেপুটি রেঞ্জ অফিসার রামু গৌড়া জানিয়েছেন, গ্রামটির কাছেই কালি নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কুমিরটিকে। তাঁর ধারণা, ওই নদী থেকেই উঠে এসেছিল কুমিরটি। তবে তাঁদের মতে, ওই নদীতে কুমির থাকলেও তারা কখনও লোকালয়ে আসে না। এই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন বলেই মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy