কুলভূষণ সুধীর যাদব
ভারতীয় ‘গুপ্তচর’ কুলভূষণ যাদবের ফাঁসির নির্দেশ ‘পরিকল্পনামাফিক হত্যা’র চেষ্টা বলে দাবি করেছে ভারত। আজ সেই অভিযোগ নস্যাৎ করার চেষ্টা করল নওয়াজ শরিফ সরকার।
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের দাবি, কুলভূষণের বিচার আইন মেনেই হয়েছে। তাতে তিন মাস সময় লেগেছে। সামরিক আদালতে কুলভূষণের পক্ষ সমর্থনের জন্য আইনজীবীও নিয়োগ করা হয়েছিল। আসিফের কটাক্ষ, ‘‘এ ক্ষেত্রে ছক কষে খুন করা হচ্ছে না। বরং কাশ্মীরে, গুজরাতে পরিকল্পনামাফিক হত্যা চলছে। সমঝোতা এক্সপ্রেসে ছক কষে হামলা করা হয়েছিল।’’ ভারতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার আব্দুল বসিতও বলেন, ‘‘কুলভূষণ জঙ্গি। তার উচিত শাস্তিই হয়েছে।’’ সরাসরি কুলভূষণের কথা উল্লেখ না করলেও প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তান প্রতিবেশী-সহ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। কিন্তু পাক সশস্ত্র বাহিনী সব ধরনের বিপদের মোকাবিলা করতেও সক্ষম।’’
বিরোধী দল পিপিপি অবশ্য নওয়াজ সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না। পিপিপি প্রধান বিলাবল ভুট্টোর বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি বিতর্কিত। তবে আমরা নীতিগত ভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। আমার দাদু জুলফিকার আলি ভুট্টোকেও ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।’’ পাক রাজনীতিকদের মতে, বিলাবল পরোক্ষে কুলভূষণের ফাঁসির বিরোধিতাই করেছেন। আর এক ধাপ এগিয়ে সরাসরি শরিফ সরকারকে আক্রমণ করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং পিপিপি নেতা কমর জামান কয়রা বলেন, ‘‘ভারত যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তা স্বাভাবিক। শরিফ সরকার কুলভূষণের বিরুদ্ধে চার্জশিট নিয়ে প্রচার করতে পারেনি। ভারত কোনও পাক চরকে গ্রেফতার করলে তা নিয়ে গোটা বিশ্বে প্রচার চালাত।’’
আরও পড়ুন: কুলভূষণকে বাঁচাবোই, গর্জন ভারতের
কুলভূষণের ফাঁসি হলে ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ার জন্য পাকিস্তানকে তৈরি থাকতে হবে বলে ধারণা সে দেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশের। কয়েকটি সংবাদপত্রের মতে, ভারত নিয়ন্ত্রণরেখায় হামলা বাড়াতে পারে। অন্য ভাবেও চাপ বাড়াতে পারে। তবে বালুচিস্তানের সন্ত্রাসে ‘ভারতীয় মদত’-এর বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপ জরুরি ছিল বলে মনে করেন পাকিস্তানে অনেক প্রাক্তন কূটনীতিক ও সামরিক অফিসারই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy