পাক হাইকমিশনের এক কূটনীতিককে ঘিরেই ঝামেলার সূত্রপাত। —ফাইল ছবি।
বাজারের মধ্যে এক মহিলার সঙ্গে ঝগড়া করছেন পাকিস্তানের এক কূটনীতিক। থানাপুলিশের পর মহিলার কাছে ক্ষমা চেয়ে পারও পেয়ে যান তিনি। তবে ঘটনার জেরে ভারতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনল পাকিস্তান। পাক হাইকমিশনের ওই কূটনীতিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ভারতের বিরুদ্ধে ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘনের দাবি করেছে পাক সরকার।
ঘটনার সূত্রপাত নয়াদিল্লির একটি বাজারে। রবিবার সেখানে এক মহিলার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের ওই কূটনীতিক। ওই মহিলার দাবি, তাঁকে অবাঞ্ছিত ভাবে স্পর্শ করেছেন ওই ব্যক্তি। যদিও মহিলার সে দাবি অস্বীকার করেছেন ওই কূটনীতিক। তাঁর দাবি, ভিড়ভাট্টার মধ্যে মহিলার গায়ে হাত লেগে গিয়েছিল। এর পরেই ঝামেলা শুরু হয়। এ নিয়ে প্রকাশ্যেই তুমুল ঝগড়াঝাঁটি হয় তাঁদের মধ্যে। ঘটনায় জল গড়ায় থানাপুলিশ পর্যন্ত। ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে সরোজিনী নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। এর পর হাইকমিশনের ওই আধিকারিককে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, সরোজিনী নগর থানায় এসে ওই মহিলার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করার পর ওই কূটনীতিককে ছেড়ে দেওয়া হয়। কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি।
পাকিস্তান হাইকমিশনের কোনও কূটনীতিককে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছে ভারতও। তবে পাকিস্তানের দাবি, ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘন করে তাদের হাইকমিশনের এক আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পাক সরকার।
(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
আরও পড়ুন: কর্নাটকে ফের রাজনৈতিক টানাপড়েন! জল্পনার মধ্যেই মুম্বইয়ের হোটেলে তিন কংগ্রেস বিধায়ক
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া গেটে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’! প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটাল মানসিক ভারসাম্যহীন
মূলত ভিয়েনা চুক্তির দ্বারাই ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কপরিচালিত হয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে ১৯৬১-তে ভিয়েনায় এক সম্মেলনে তা স্থির করা হয়েছিল। ১৯৯২-তে দুই দেশের কূটনীতিকদের আচরণবিধি নিয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত-পাকিস্তান। ওই আচরণবিধি অনুযায়ী, দুই দেশের কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত থাকবে। পাশাপাশি, এটা সুনিশ্চিত করা হবে যাতে মৌখিক বা শারীরিক ভাবে যাতে কূটনীতিকদের কোন রকম হেনস্থার মুখে পড়তে না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy