তেলঙ্গানার জলপ্রপাতের ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
সবুজ পাহাড় এবং বর্ষাকাল। এই সময়ে তেলঙ্গানার সবচেয়ে উঁচু জলপ্রপাত দেখতে গিয়েছিলেন পর্যটকেরা। উপরে ‘হাইকিং’ করে উঠে গেলেও বৃষ্টির কারণে জল জমে যাওয়ার কারণে আর নীচে নামতে পারছিলেন না তাঁরা। খবর পাওয়ার পর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী অন্তত ৮৫ জন পর্যটককে উদ্ধার করে। এই ঘটনাটি বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার মুলুগু জেলার মুত্যলধারা জলপ্রপাতের কাছে ঘটেছে।
ভরা বৃষ্টিতে পাহাড় যেমন মেঘের চাদরে মুড়ে অপরূপ রূপ ধারণ করে, ঠিক তেমনই পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে লুকিয়ে থাকে অজানা বিপদ। কখন ধস নামবে বা কখন খরস্রোতা নদীর জলস্রোতে ভাঙতে শুরু করবে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা গ্রাম-শহর— তা সহজে অনুমান করা যায় না। সব কিছু জেনেও বর্ষায় মুত্যলধারা জলপ্রপাত চাক্ষুষ করার লোভ সামলাতে পারেননি পর্যটকেরা। ৮৫ জনের একটি দল বুধবার চড়াই পথে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন। গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর পর পর্যাপ্ত সময়ও কাটান তাঁরা। কিন্তু ফেরার পথে বিপদ ঘনিয়ে আসে।
বৃষ্টির ফলে জলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকায় পর্যটকেরা পাহাড়ি জঙ্গলের মাঝে আটকে যান। সারা রাত ধরে নামার চেষ্টা করলেও পথ খুঁজে পাননি তাঁরা। পরে স্থানীয় পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জাতীয় মোকাবিলা বাহিনীকে খবর দেন পর্যটকেরা। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজের জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ৫০ জন কর্মী। রাতের অন্ধকারেই পর্যটকদের খুঁজে বার করে নীচে নামিয়ে আনেন উদ্ধারকর্মীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, অন্তত ৮৫ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউই গুরুতর আহত নন বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রয়োজন মতো খাবার এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, অতি ভারী বর্ষণের ফলে তেলঙ্গানার বেশ কয়েকটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খুব দরকার না হলে বাড়ি থেকে না বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার সমস্ত স্কুল বন্ধের নির্দেশও দিয়েছে রাজ্য সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy