ছবি: পিটিআই।
একসঙ্গে ভোট করানো নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে গোড়াতেই জল ঢাললেন বিরোধীরা। লোকসভা-বিধানসভা ভোট এক সঙ্গে করা নিয়ে স্পিকারের কর্মশালা-বৈঠকে এলেনই না বিরোধী শিবিরের সিংহভাগ নেতা।
সংসদের পাঠাগার ভবনে আজ লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন একসঙ্গে ভোট করানো নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। সেই বৈঠকের বক্তা হিসেবে মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান পূর্ণিমা আডবাণী, হিমাচলপ্রদেশের প্রাক্তন রাজ্যপাল বিষ্ণু সদাশিব কোকজেকেও নিয়ে আসা হয়েছিল। সব সাংসদকেও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল স্পিকারের দফতর। শুধু তাই নয়, আজ সংসদ চত্বর জুড়ে নানা জায়গায় প্ল্যাকার্ড দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল সাংসদদের। তা সত্ত্বেও বড়জোর ত্রিশ জন সাংসদ হাজির হলেন। আর তা-ও সিংহভাগ শাসক শিবিরের।
সূত্রের মতে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসেরও কোনও বড় নেতাই বৈঠকে যাননি। অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলের নেতারাও সে-মুখো হননি। কিন্তু কেন? কংগ্রেসের নেতারা প্রকাশ্যে জানাচ্ছেন, আসলে সেই সময় সংসদের দুই সভাতেই গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। ঘরোয়া আলোচনায় তাঁরা জানিয়েছেন, স্পিকারের মাধ্যমে আসলে প্রধানমন্ত্রীই একসঙ্গে ভোট করানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। যদি সেটিই প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য হয়, তাহলে নিজেই বৈঠক ডাকুন না! ঘুরপথে করার কী মানে? মুখে একসঙ্গে ভোট করার কথা বললেও উপনির্বাচনগুলি তো আলাদা আলাদা সময়ে হচ্ছে। যাতে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধে পাইয়ে দেওয়া যায়।
বৈঠকে উপস্থিত বক্তারাও নানা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। প্রায় বিরোধীশূন্য বৈঠকে তাঁরা জানান, লোকসভা থেকে পঞ্চায়েত ভোট একসঙ্গে করানোর জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আর তার জন্য চাই দুই-তৃতীয়াংশ ভোট। ফলে বিরোধীরা সম্মত না হলে একার জোরে কোনও ভাবেই বিল পাশ করানো সম্ভব নয় সরকারের পক্ষে। বৈঠকে উপস্থিতির হার দেখে বক্তারা জানিয়েছেন, আদৌ এক সঙ্গে ভোট করা সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy