মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা খুনের মামলায় রবিবার আরও এক জনকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। মহারাষ্ট্রের অকোলা জেলার বলাপুর থেকে তাঁকে পাকড়াও করেছেন মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখার আধিকারিকেরা। ধৃতের নাম সলমনভাই ইকবালভাই বোহরা। বাড়ি গুজরাতের আনন্দ জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সিদ্দিকি খুনে অভিযুক্তদের এবং তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বোহরা। কী কারণে অভিযুক্তদের পরিবারকে তিনি আর্থিক সাহায্য পাঠাতেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। টাকার বিনিময়ে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা হত কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের মামলায় জড়িত আরও একাধিক অভিযুক্তকে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে বোহরার বিরুদ্ধে।
এই নিয়ে সিদ্দিকি খুনের মামলায় মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরের মে মাসে বোহরা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সিদ্দিকির উপর হামলায় অভিযুক্ত অন্যতম আততায়ী গুরমইল সিংহের ভাই নরেশকুমার সিংহকে টাকা পাঠানোর জন্য ওই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার হচ্ছিল। এ ছাড়া আরও দুই অভিযুক্ত রূপেশ মোহোল এবং হরিশকুমার নিষাদের পরিবারকেও টাকা পাঠিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১২ অক্টোবর সিদ্দিকিকে খুনের পরই ঘটনাস্থল থেকে দু’জন আততায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন গুরমইল। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। অক্টোবরেই পুণে থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন রূপেশ। উত্তরপ্রদেশ থেকে গত মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল হরিশকুমারকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিন অভিযুক্তের পরিবার-সহ মামলার সঙ্গে জড়িত আরও একাধিক জনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বোহরার।
আরও পড়ুন:
সিদ্দিকি খুনে অন্যতম মূল অভিযুক্ত শিবকুমারকেও সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে নেপাল সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। নেপালে পালানোর ছক কষেছিলেন তিনি। তবে তার আগেই ধরা পড়ে যান পুলিশের হাতে। সিদ্দিকির উপর যে তিন আততায়ী হামলা চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম শিবকুমার। মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলি চালানোর পর পরই নিজের জামা বদলে ফেলেছিলেন শিবকুমার। এমনকি, কারও যাতে সন্দেহ না হয়, সে জন্য বেশ কিছু ক্ষণ ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ঘোরাফেরাও করেছিলেন।