প্রতীকী ছবি।
ডিজে-র শব্দে খামারের ৬৩টি মুরগির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। পড়শির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ নিয়ে থানায় হাজির হলেন মুরগির খামারের মালিক। অভিযোগ শুনে পুলিশও থ!
ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার নীলাগিরি থানার কান্দাগারাডি গ্রামে। খামার মালিক রঞ্জিৎ পারিদার অভিযোগ, প্রতিবেশী রামচন্দ্র পারিদার বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর খামারের পাশে ডিজে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে শোভাযাত্রায় বার হন। অভিযোগ, আওয়াজ কমাতে বললে রঞ্জিতের কথা কানো তোলেননি রামচন্দ্র।
রঞ্জিতের দাবি, সাউন্ড বক্সের আওয়াজ এতটাই তীক্ষ্ণ ছিল যে, সেই আওয়াজে খামারের মুরগিগুলির মধ্যে অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে। তার পরই সেগুলি এক এক করে ঝিমিয়ে পড়তে শুরু করে। স্থানীয় পশু চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসেন রঞ্জিত, কিন্তু তত ক্ষণে ৬৩টি মুরগির মৃত্যু হয় বলে দাবি তাঁর। রঞ্জিতের কথায়, “মুরগিগুলিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করি। কিন্তু সব চেষ্টা বিফলে যায়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, তীব্র আওয়াজে মুরগিগুলি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।”
রঞ্জিৎ পুলিশকে জানিয়েছেন, রামচন্দ্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রামচন্দ্র তা দিতে অস্বীকার করেন। তাই বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন রঞ্জিত। বালেশ্বরের পুলিশ সুপার সুধাংশু মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নীলাগিরি থানায় এ রকম একটি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে তিনি শুনেছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর দু’পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিটমাট করা হয়েছে।
তবে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই রামচন্দ্র কিন্তু প্রতিবেশীর এমন অভিযোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি পাল্টা বলেন, “লাখ লাখ মুরগিকে রোজ রাস্তা দিয়ে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তীব্র হর্নের মধ্যে। কই তখন তো কোনও মুরগির মৃত্যু হচ্ছে না! তা হলে ডিজে-র আওয়াজে কী ভাবে মৃত্যু হয় শুনি? যাই হোক, আমাকে আওয়াজ কমাতে বলায়, তা কমিয়ে দিয়েছিলাম।”
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক রঞ্জিত কোনও কাজ না পেয়ে মুরগির খামার খুলেছিলেন। ব্যাঙ্ক থেকে দু’লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে এই ব্যবসায় নেমেছেন তিনি। ডিজের আওয়াজে মুরগির মৃত্যু নিয়ে জোর চর্চা চলছে নীলাগিরিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy