এনএসই দুর্নীতি মামলায় ধৃত চিত্রা রামকৃষ্ণ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)-এর কো-লোকেশন দুর্নীতির মামলায় দেশ জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, গাঁধীনগর, নয়ডা, গুরুগ্রাম-সহ বিভিন্ন শহরের এক ডজন ঠিকানায় শুক্রবার তল্লাশি হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক ‘ব্রোকার সংস্থা’র দফতরও রয়েছে।
কো-লোকেশন দুর্নীতির মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই এনএসই-র প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) চিত্রা রামকৃষ্ণ এবং প্রাক্তন গ্রুপ অপারেটিং অফিসার (জিওও) আনন্দ সুব্রহ্মণ্যমকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে বিশেষ সংস্থাকে কো-লোকেশন সুবিধা পাইয়ে দেওয়া, আর্থিক অনিয়ম এবং নিয়ম ভেঙে কর্মীদের পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, দিল্লির ব্রোকিং সংস্থা ওপিজি সিকিউরিটিজ ও তার প্রোমোটার সঞ্জয় গুপ্ত নিয়ম ভেঙে এনএসই-র কো-লোকেশন ব্যবস্থার সুবিধা নিয়েছিলেন। এর ফলে অন্য ব্রোকারদের থেকে কিছুটা সময় আগেই লেনদেনের জন্য লগ-ইন করতে পারতেন এবং তার সাহায্যে মুনাফা লুটতেন সঞ্জয় এবং তার সহযোগী ব্রোকাররা।
এ ধরনের প্রায় ৯০ শতাংশ ঘটনাতেই দেখা গিয়েছে গুপ্ত প্রথম লগ-ইন করেছিলেন। প্রায় এক দশক আগেকার ওই ঘটনায় চিত্রা, আনন্দ-সহ মুম্বইয়ে এক্সচেঞ্জের আধিকারিকদের অনেকেই জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। এনএসই-র মতো এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে কয়েক সেকেন্ড আগে হওয়া লেনদেনও অনেকটা তফাত গড়ে দিতে পারে বলে সিবিআইয়ের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy