Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
NRC

চাই শংসাপত্রদাতার সাক্ষ্যও, রায় মামলায়

বিয়ের শংসাপত্র ও গাঁওবুড়োর শংসাপত্রকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে শংসাপত্রদাতার সাক্ষ্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা 
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২০ ০১:৪৫
Share: Save:

কিছু শংসাপত্রকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করতে গেলে শংসাপত্রদাতার সাক্ষ্য প্রয়োজন বলে রায় দিল গৌহাটি হাইকোর্ট। সেই সাক্ষ্যের অভাবে আবেদনকারী রাবিয়া খাতুনের আর্জি খারিজ করেছে হাইকোর্ট। ফলে ফরেনার্স ট্রাইবুনালের রায় অনুযায়ী, আপাতত বিদেশি হিসেবেই গণ্য করা হবে রাবিয়াকে।

২০১৭ সালে এক নির্দেশে রাবিয়াকে ১৯৭১ সালের পরে আসা বিদেশির তকমা দিয়েছিল ট্রাইবুনাল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান রাবিয়া। নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ভোটার কার্ড, তাঁর ঠাকুর্দার নাম-সহ ১৯৬৫ সালের ভোটার লিস্ট, নিজের বিয়ের শংসাপত্র এবং গাঁওবুড়ো তথা গ্রামপ্রধানের দেওয়া শং‌সাপত্র জমা দিয়েছিলেন রাবিয়া।

কিন্তু এগুলিকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি বিচারপতি মনোজিৎ ভুঁইয়া ও বিচারপতি পার্থিবজ্যোতি শইকিয়ার বেঞ্চ। আগেই একটি মামলায় হাইকোর্ট জানিয়েছে, ১৯৮৫ সালের অসম চুক্তি অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি বিদেশি কি না তা বিচার করার ক্ষেত্রে ভোটার কার্ডকে প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। ফলে রাবিয়ার মামলাতেও তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। ১৯৬৫ সালের ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে বিচারপতিদের বক্তব্য, ‘‘আবেদনকারীর ঠাকুর্দার নামের সঙ্গে তাঁর নামও রয়েছে এমন কোনও ভোটার তালিকা পেশ করা হয়নি। তা ছাড়া আবেদনকারীর বাবা যে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে ভারতে ছিলেন তা প্রমাণ করার জন্যও কোনও নথি বা ভোটার তালিকা পেশ করা হয়নি।’’ অসম চুক্তিতে ওই তারিখকেই ভিত্তিবর্ষ বলা হয়েছে।

বিয়ের শংসাপত্র ও গাঁওবুড়োর শংসাপত্রকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে শংসাপত্রদাতার সাক্ষ্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা। সেইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, ‘‘নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য রাবিয়া এক জন নিরপেক্ষ সাক্ষীকেও হাজির করেননি।’’

এর আগেও সাহেরা খাতুন নামে এক আবেদনকারীর মামলায় শংসাপত্রদাতার সাক্ষ্য না থাকায় স্কুলের শংসাপত্রকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি গৌহাটি হাইকোর্ট।

অন্য বিষয়গুলি:

NRC Assam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE