ক্লাস চলাকালীন হাঠাত্ খুব পেটে যন্ত্রণার কথা শিক্ষককে বলেছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। শিক্ষক তখন তাকে ওয়াশরুমে যেতে বলেন। অন্য এক ছাত্রীকেও তার সঙ্গে পাঠান শিক্ষক। ওয়াশরুমে ঢুকেই যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে ছাত্রীটি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। সঙ্গে থাকা তার সহপাঠী ঘটনাটি দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানায় শিক্ষকদের। ওয়াশরুমে গিয়ে ছাত্রীটির ওই হাল দেখে শিক্ষকরাও ‘বোবা’ হয়ে যান। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠে তাঁরা ছাত্রীটির বাড়ির লোকের কাছে খবর পাঠান। ছাত্রীটিকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠান স্কুল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেয়েটি ও তার সন্তান দু’জনেই সুস্থ।
ঘটনাটি শনিবার হায়দরাবাদের মাধেপুরা এলাকার একটি স্কুলের। সোমবার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই শোরগোল পড়ে যায়।
স্কুলের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা সকলেই জানিয়েছেন মেয়েটিকে দেখে বোঝা যায়নি সে গর্ভবতী। ছাত্রীটির শ্রেণি শিক্ষক আবার বলেছেন, “সে খুব একটা মোটাসোটা নয়। খুব সাধারণ ভাবেই ক্লাসে আসত। কোলের উপর ব্যাগ রেখে বেঞ্চে বসত। কখনওই মনে হয়নি ও প্রেগন্যান্ট।”
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ছাত্রীটির এলাকারই এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকটিকে বেশ কয়েক বার ছাত্রীটির সঙ্গে স্কুল যাওয়ার পথে দেখা গিয়েছে।
অন্য দিকে, এই ঘটনার কথা জেলা শিক্ষা দফতরে পৌঁছনোর পরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেলা শিক্ষা আধিকারিক জানান, মেয়েটির বাবা-মা যদি বিষয়টি ঠিক ভাবে লক্ষ্য করত এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাত, তা হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।
এক সহপাঠী জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই একা একা থাকত ছাত্রীটি। সবাই যখন খেলাধুলা করলেও সে চুপ করে বসে থাকত।
সমাজসেবীরা বলছেন, এই ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিল যে শিশুদের যৌন নির্যাতন নিয়ে সমাজ এখনও সচেতন নয়। মেয়েটির চারপাশে অনেক মানুষ ঘোরাঘুরি করেছে, অথচ কেউই বিষয়টি টের পেল না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy