(বাঁ দিকে) অতুল সুভাষ। নিকিতা সিংহানিয়া (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অতুল সুভাষের মৃত্যু মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া এবং শ্বশুরবাড়ির আরও দুই সদস্য। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বেঙ্গালুরুর এক নিম্ন আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারির পর প্রাথমিক জেরায় অতুলকে টাকার জন্য হেনস্থা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিকিতা। বরং অতুলই তাঁকে হেনস্থা করতেন বলে দাবি মৃতের স্ত্রীর। পুলিশকে নিকিতা জানিয়েছেন, যদি টাকার জন্যই তিনি অতুলকে হেনস্থা করতেন, তা হলে আলাদা থাকতেন কেন?
অতুলের আত্মহত্যা, ২৪ পাতার সুইসাইড নোট এবং মৃত্যুর আগে একটি দীর্ঘ ভিডিয়োবার্তা ঘিরে বার বার প্রশ্ন উঠেছে নিকিতার ভূমিকা নিয়ে। স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, নিকিতা জেরায় জানিয়েছেন যে তিনি প্রায় তিন বছর ধরে অতুলের থেকে আলাদা থাকেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে যে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, তা ভিত্তিহীন বলেই দাবি অতুলের স্ত্রীর।
অতুল কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকলেও তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। নিকিতাও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তবে তাঁদের বনিবনা ছিল না। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল উত্তরপ্রদেশের এক পারিবারিক আদালতে। অতুলের স্ত্রী নিকিতাও চাকরিজীবী। তিনি হরিয়ানার গুরুগ্রামে একটি বাড়িতে পেইং গেস্ট হিসাবে থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গুরুগ্রাম থেকেই নিকিতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে।
অতুলের মৃত্যুর পর শোনা যায়, সুইসাইড নোটটি তাঁর গুগ্ল ড্রাইভে লিঙ্ক করা ছিল। আচমকা সেই লিঙ্ক নাকি উধাও হয়ে গিয়েছে! যদিও এই তথ্য মিথ্যা বলে দাবি বেঙ্গালুরুর পুলিশের। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তদন্তকারী দল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ইন্টারনেটে অতুলের সার্চ হিস্ট্রি নিয়ে কিছু গুজব ছড়িয়েছে। তিনি কিছু বিষয় ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করেছিলেন। কিন্তু ইন্টারনেটে তিনি ঠিক কী খুঁজছিলেন এবং কত দিন ধরে খুঁজছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy