বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অতুল সুভাষ। গত ৯ অগস্ট আত্মঘাতী হন তিনি। —ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অতুল সুভাষের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তাঁর পিতা পবন কুমার। অতুলকে ‘হেনস্থা’ করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। পবন জানিয়েছেন, অতুলের মৃত্যুর বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তিনি সন্তানের অস্থি বিসর্জন করবেন না। সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় যাতে ন্যায়বিচার মেলে, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গত ৯ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে অতুলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে পাওয়া যায় একটি ২৪ পাতার সুইসাইড নোট এবং একটি দীর্ঘ ভিডিয়ো রেকর্ডিং। সেখানে স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও মৃত্যুর আগে দাবি করেন অতুল। ওই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, তাঁর মা নিশা সিংহানিয়া এবং ভাই অনুরাগ সিংহানিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানালেও সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচার এবং দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পবন। তিনি বলেন, “যাঁরা আমার ছেলেকে হেনস্থা করেছেন, তাঁদের কড়া শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তাহলে আমার সন্তান বিচার পাবে। যতদিন না তা হচ্ছে, আমি সন্তানের অস্থি বিসর্জন করব না।”
অতুল আসলে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। নিকিতার বাড়িও উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে। নিকিতা নিজেও একটি সংস্থায় কর্মরত। উভয়ের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বনিবনা ছিল না। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে এক পারিবারিক আদালতে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল উত্তরপ্রদেশের এক পারিবারিক আদালতে। এরই মধ্যে গত সোমবার বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অতুলের দেহ।
অতুলের আত্মহত্যার পর তাঁর ভাই বিকাশ কুমার বেঙ্গালুরুর এক থানায় এফআইআর দায়ের করেন নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। অতুলকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। ওই মামলার তদন্তে বেঙ্গালুরুর পুলিশের একটি দল পাঠানো হয় উত্তরপ্রদেশে। পুলিশের ওই দলই হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে নিকিতাকে। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁর মা এবং ভাইকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy