Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Delhi Flood

বন্ধ করে দেওয়া হল দিল্লির সবচেয়ে বড় শ্মশান, জমা জলে ডুবে মৃত্যু তিন কিশোরের

প্লাবন পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার সেনার সাহায্য চেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। সেই মতো সেনা নেমেছে। জল-যন্ত্রণার মধ্যেই পানীয় জলের হাহাকারও দেখা গিয়েছে দিল্লিতে।

 photo of delhi flood

প্লাবিত দিল্লির সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগমবোধ ঘাট। ছবি: টুইটার।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩ ১৭:৩৯
Share: Save:

গত কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং যমুনার জলোচ্ছ্বাসে দিল্লির দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। বন্যা পরিস্থিতির জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল রাজধানীর সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগমবোধ ঘাট। যমুনার তীরে রিং রোডে রয়েছে এই শ্মশান। প্লাবন পরিস্থিতির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই শ্মশান। যার ফলে প্রিয়জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে বিপাকে পড়ছেন দিল্লিবাসী। অন্য দিকে, উত্তর পূর্ব দিল্লিতে জমা জলে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হল তিন কিশোরের। তাদের সকলেরই বয়স ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। উত্তর পূর্ব দিল্লির মুকুন্দপুর এলাকায় দুপুর ৩টে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয় জানিয়েছেন, প্লাবন পরিস্থিতির কারণে নিগমবোধ ঘাট, গীতা কলোনি, ওয়াজ়িরাবাদ, সরাই কালে খানে শ্মশান বন্ধ করা হয়েছে। শেষকৃত্যের জন্য অন্য শ্মশানগুলিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যে সব শ্মশানে অন্ত্যেষ্টি করা যাবে, তার তালিকাও দিয়েছেন তিনি।

১৯৭৮ সালের বর্ষায় দিল্লিতে যমুনার জলস্তর ২০৭.৪৯ মিটার ছিল। বুধবার সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। বুধবার দুপুর ১টায় দিল্লি রেলসেতুর কাছে যমুনার জলস্তর উঠেছিল ২০৭.৫৫ মিটার। যা গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার সেই জলস্তর আরও বাড়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় যমুনার জলস্তর ছুঁয়েছিল ২০৮.৬৬ মিটার। হরিয়ানার হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে ক্রমাগত জল ছাড়া হচ্ছে নদীতে। যার জেরে যমুনার জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। শুক্রবার সকালে যমুনার জলস্তর সামান্য কমেছে। সকাল ৯টা নাগাদ যমুনার জলস্তর ছুঁয়েছে ২০৮.৪০ মিটার। দুপুর ১টায় যমুনার জলস্তর নেমেছে ২০৮.২৭ মিটার।

বৃহস্পতিবার যমুনার জল ঢুকে পড়েছিল লালকেল্লা চত্বরে। লালকেল্লার দেওয়াল ছুঁয়েছে যমুনার জল। শুক্রবার যমুনার জল ঢুকে পড়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছেও। ডুবেছে রাজঘাট। বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় যানজটে নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দারা। রবিবার পর্যন্ত স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্লাবন পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার সেনার সাহায্য চেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। সেই মতো সেনা নেমেছে। জল-যন্ত্রণার মধ্যেই পানীয় জলের হাহাকারও দেখা গিয়েছে। ওয়াজ়িরাবাদ, চন্দ্রওয়াল এবং ওখলায় জল শোধনাগার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জলের জন্য নলকূপের সামনে বালতি নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন বাসিন্দারা।

অন্য বিষয়গুলি:

Yamuna River Delhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE