দাউদ ইব্রাহিম। ফাইল চিত্র।
বয়স এখন ৬৭ ছুঁতে চলেছে। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, তাঁর শরীরটাও বিশেষ ভাল যাচ্ছে না বলে অবসরের কথা ভাবছেন। কিন্তু মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমকে ছাড় দিতে নারাজ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। বৃহস্পতিবার তাঁর মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে দাউদের ভাই-সহ আরও চার জন সম্পর্কে ‘তথ্য’ দেওয়ার ইনামও।
কিন্তু একাধিক নাশকতায় অভিযুক্ত ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সম্পর্কে এনআইএ-র এই ‘অবস্থান’ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। চলতি মাসের গোড়ায় কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার সদস্য লতিফ রাথের। লস্করের এই মামুলি জঙ্গির বিরুদ্ধে রাহুল ভট্ট, অমরিন ভট্ট-সহ কাশ্মীরের কয়েক জন সাধারণ নাগরিককে খুনের অভিযোগ ছিল। সে ক্ষেত্রে ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ, জাল নোট সরবরাহ-সহ একাধিক নাশকতায় যুক্ত দাউদ সম্পর্কিত তথ্যের ‘মূল্য’ আরও বেশি হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
দাউদের পাশাপাশি তাঁর সঙ্গীদের মাথার দামও ঘোষণা করা হয়েছে এনআইএর তরফে। এই তালিকায় দু’নম্বরে রয়েছেন শাকল শেখ ওরফে ছোটা শাকিল (২০ লক্ষ)। ডি কোম্পানিতে যাঁর জায়গা দাউদের পরেই। এ ছাড়া দাউদের ভাই আনিস ইব্রাহিম ওরফে ছোটা আনিস এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই সঙ্গী, জাভেদ পটেল ওরফে জাভেদ চিকনা এবং ইব্রাহিম মোশতাক আব্দুল রজ্জাক মেমন ওরফে টাইগার মেমনের নাম রয়েছে তালিকায়। তিন জনের মাথার উপরেই ১৫ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী, ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার পিছনে মাথা হিসাবে অভিযুক্ত দাউদ যে পড়শি মুলুকের বাণিজ্যনগরী করাচির বাসিন্দা, বহু বছর ধরে তা দাবি করে আসছে দিল্লি। করাচিতে দাউদের ঠিকানার কথা ২০২০ সালে পাকিস্তানও কবুল করে। সেই ঠিকানা তার কয়েক বছর আগেই ইসলামাবাদের হাতে তুলে দিয়েছিল ভারত। তাতে বলা হয়েছিল, পাক সেনাবাহিনী এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নাকের ডগাতেই বাস করছেন দাউদ। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁকে নিরাপত্তা দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। যদিও ইসলামাবাদের দাবি, দাউদ এখন পাকিস্তানে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy