নরেন্দ্র মোদী এবং শি জিনপিং। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সাড়ে তিন বছর আগেই নয়াদিল্লিকে ‘সুখবর’ দিয়েছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। প্রাক্-অতিমারি পর্বে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যেই আর্থিক বৃদ্ধিতে প্রতিবেশী চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত।
বুধবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, চিনকে টপকে বিশ্বের দ্রুততম আর্থিক বৃদ্ধির শিরোপা ভারত পেতে চলেছে। ওই পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১৩.৫ শতাংশ। অর্থাৎ, গত বছর এপ্রিল-জুনের তুলনায় এ বছরের এপ্রিল-জুনে জিডিপি-র বহর ১৩.৫ শতাংশ বেড়েছে। রিপোর্টে স্পষ্ট, কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে ভারতে ফের গতি পেয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির হার।
২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে কোভিড হানার জেরে ধ্বস্ত আর্থিক পরিস্থিতির হাল ফেরাতে নরেন্দ্র মোদী সরকার যে পদক্ষেপগুলি করেছিল, তার সুফল মেলার বার্তাও রয়েছে ওই রিপোর্টে। রয়েছে, লগ্নির ক্ষেত্রেও হাল ফেরার বার্তা। হোটেল, পরিবহণ ব্যবসা, যোগাযোগ এবং পরিষেবার মতো যে সব ক্ষেত্র অতিমারির জেরে সব চেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছিল এবং লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও ধুঁকছিল, সেখানেও পরিস্থিতির ইতিবাচক বদল ঘটেছে।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের এই রিপোর্ট বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চিনকে টপকে যাওয়ার স্পষ্ট বার্তা বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। ‘অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে চিনের আর্থিক বৃদ্ধির আনুমানিক হার মাত্র ০.৪ শতাংশ। যার অর্থ, কোভিড-পরবর্তী আর্থিক মন্দা থেকে এখনও বেজিংকে মুক্ত করতে পারেননি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। লকডাউনের অভিঘাত রয়ে গিয়েছে এখনও। ঋণাত্মক বৃদ্ধির হার বুঝিয়ে দিচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতির হার ঠেকাতে নয়াদিল্লি অনেকটা সফল হলেও পিছিয়ে রয়েছে বেজিং।
কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে নির্মাণ শিল্পে ধস, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ কর্মসূচিতে বিপুল খরচ, এবং বিভিন্ন দেশকে মাত্রাতিরিক্ত ঋণদান চিনের আর্থিক মন্দার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো চিনা ঋণ গ্রহণকারী একাধিক দেশ এখন আর্থিক বিপর্যয়ের কবলে। যার পরোক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে চিনা অর্থনীতিতে। তা ছাড়া, তাইওয়ান-সঙ্কটের জেরে আগামী দিনে চিনে আর্থিক মন্দা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy