ফাইল চিত্র।
দক্ষিণে দ্রুত ছড়াচ্ছে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের নয়া সংস্করণ ‘এওয়াই.৪.২’। বুধবার কর্নাটকে নতুন করে তিন জন আক্রান্ত হওয়ায় এই স্ট্রেনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাতে পৌঁছে গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে এক জন বেঙ্গালুরুর। বাকিরা রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের বাসিন্দা। ব্রিটেন, রাশিয়া এবং ইজ়রায়েলের মতো বিশ্বের একাধিক দেশেও দ্রুত বাড়ছে এই স্ট্রেনের সংক্রমণের গতি। যে কারণে দেশের বাইরে থেকে রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৭২ ঘণ্টা আগে করা আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে আনা বাধ্যতামূলক করার কথা ঘোষণা করেছে কর্নাটক সরকার। এ দিকে সব শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য সোমবার থেকে স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করল দিল্লি সরকার। তবে ক্লাসে আসবে ৫০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। বাকিরা ক্লাস করবে অনলাইনেই।
এই নয়া স্ট্রেন ঘিরে রাজ্যবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও আপাতত ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেই আশ্বস্ত করেছেন কর্নাটকের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের কমিশনার ডি রণদীপ। তিনি জানান, এই ভেরিয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে রাজ্যের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজ়রি কমিটি। যাতে উঠে এসেছে ব্রিটেন, রাশিয়া বা ইজ়রায়েলের চেয়ে এখানে সংক্রমণের গতি অনেক কম। তাঁর কথায়, ‘‘দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে ডেল্টা সংক্রমণের গতি এর চেয়ে অনেকটাই বেশি ছিল।’’ তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, স্ট্রেনটি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। আরও গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা দরকার। কিন্তু এই স্ট্রেনের জেরে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে যে আশঙ্কা করছেন অনেকে
তার সপক্ষে এখনও কোনও কঠিন প্রমাণ মেলেনি।
নিয়মিত জেনোমিক সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমিশনার। এখনও পর্যন্ত যার হার ১০%। তবে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিলে এই গতি বাড়ানো হবে। ‘এওয়াই.৪.২’ নিয়ে আইসিএমআর-এর সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। মত নেওয়া হবে বিশেষজ্ঞদেরও। উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিরোধ পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বাইরের রাজ্যগুলি থেকে কর্নাটকে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত হবে একই সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy