Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Mundra

Mundra Port: মাদকে লাভ কি মুন্দ্রা বন্দরের, প্রশ্ন আদালতের

গুজরাতে আদানি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা মুন্দ্রা বন্দরে ১৬ সেপ্টেম্বর দু’টি কন্টেনার আটক করে রাজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা। ২৯৯০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

মুন্দ্রা বন্দর।

মুন্দ্রা বন্দর।

সংবাদ সংস্থা
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:২২
Share: Save:

আফগানিস্তান থেকে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে হেরোইন আসার ঘটনায় ওই বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবে লাভবান হয়েছেন কি না খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিল আদালত।
গুজরাতে আদানি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা মুন্দ্রা বন্দরে ১৬ সেপ্টেম্বর দু’টি কন্টেনার আটক করে রাজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা। তা থেকে ২৯৯০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ওই হেরোইন আফগানিস্তান থেকে ইরানের বন্দর আব্বাস হয়ে মুন্দ্রা বন্দরে এসেছিল। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার ‘আশি ট্রেডিং কোম্পানি’ ওই কন্টেনারগুলি আমদানি করেছিল ‘হাসান হুসে লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থার কাছ থেকে। এই মামলায় বেশ কয়েক জন ভারতীয় ও বিদেশিকে গ্রেফতার করেছে রাজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা।

২৬ সেপ্টেম্বর আমদাবাদে এনডিপিএস আদালতে তোলা হয় মূল অভিযুক্ত রাজকুমার পি-কে। কোয়ম্বত্তূরের বাসিন্দা রাজকুমারই ভারতীয় ও ইরানি সংস্থার মধ্যে ওই দু’টি কন্টেনার আনার চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর কাজ করেছে বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত জেলা বিচারক সি এম পওয়ার জানান, এই হেরোইন উদ্ধার অনেক প্রশ্ন তুলেছে। বিদেশ থেকে এমন কন্টেনার যখন আসে তখন তাতে মুন্দ্রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও তাঁদের অফিসারদের ভূমিকা কী তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বিচারকের মতে, এমন কন্টেনারের বিষয়ে মুন্দ্রা বন্দর কর্তৃপক্ষ একেবারে অন্ধকারে রইলেন কেন তা-ও জানা প্রয়োজন। বিচারকের প্রশ্ন, ‘‘মাদক আনলে মুন্দ্রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কি লাভবান হন? অন্ধ্রের বিজয়ওয়াড়ার আশপাশে চেন্নাই-সহ অনেক বন্দর রয়েছে। তা হলে এত দূরে মুন্দ্রা বন্দরে কেন ওই দু’টি কন্টেনার আনা হল?’’ বিদেশের বন্দর ও মুন্দ্রা বন্দরে এমন কন্টেনারে কী সামগ্রী এসেছে তা খতিয়ে দেখার পদ্ধতি কী তা-ও জানতে চেয়েছে কোর্ট। মুন্দ্রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এখনও এ নিয়ে মুখ খোলেননি।

অন্য বিষয়গুলি:

Mundra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE