— ফাইল ছবি
গোয়ায় খেলা জমিয়ে দিলেন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রধান শরদ পওয়ার। মঙ্গলবার মুম্বইয়ে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের মন্তব্য, ‘‘গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা ভোটের জন্য কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে কথা চলছে।’’ তা হলে কি গোয়ায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে কংগ্রেস, এনসিপি-র সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইয়ে নামতে চলেছে তৃণমূলও? শরদের মন্তব্যের পর এ নিয়েই শুরু হয়ে নয়া জল্পনা। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় বিধানসভা ভোট।
একুশের নীলবাড়ির ভোটে বিপুল সাফল্যের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী হয়েছেন দলকে জাতীয় রাজনীতিতে পাকাপোক্ত জায়গা করে দিতে। এ জন্য ত্রিপুরার পর তৃণমূলের পাখির চোখ গোয়া। সমুদ্রে ঘেরা রাজ্যে গুছিয়ে নিয়েছে বাংলার শাসক দল। হাত ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। মমতার হাত ধরে রাজনীতিতে পা রেখেছেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ-সহ আরও অনেকে। ক’দিন আগেই গোয়ার এনসিপি বিধায়ক তথা আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আলেমাও চার্চিলও যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। এক বার মমতা ও একাধিক বার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরে এসেছেন গোয়া। কিন্তু ফেলেইরো ও চার্চিলের তৃণমূলে যোগদানের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি ঘর ভাঙানোর অভিযোগ করেছে গোয়ায় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। এমনকি তৃণমূলের সঙ্গে কোনও ধরনের জোটের কথাও সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। এরই মধ্যে তৃণমূলের আগ্রাসী পদক্ষেপের সমালোচনা এসেছে শিবসেনার তরফেও। যে শিবসেনা ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে মহারাষ্ট্রে সরকার চালাচ্ছে এনসিপি। এতদসত্ত্বেও রা কাড়েননি এনসিপি প্রধান। এ বার মুখ খুললেন শরদ পওয়ার। কিন্তু তাঁর সুর সম্পূর্ণ ভিন্ন।
We are in talks with Congress and Trinamool Congress for an alliance for Goa Assembly elections: NCP Chief Sharad Pawar in Mumbai pic.twitter.com/gxQZzuo2QC
— ANI (@ANI) January 11, 2022
মঙ্গলবার মুম্বইয়ে শরদ বললেন, ‘‘আসন্ন গোয়া বিধানসভার ভোটে জোট বেঁধে চলার জন্য কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা আমাদের পছন্দের আসনের তালিকা দিয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যেই সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে। গোয়ার মানুষ বিজেপি-র শাসনে অতিষ্ঠ। এ বার বদল দরকার।’’ তাঁর এই মন্তব্যের পরই গোয়ায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে মহাজোটের জল্পনায় ইন্ধন পড়েছে। যদিও কংগ্রেস এমন কোনও আলোচনার কথা প্রকাশ্যে মানতে চায়নি।
এ দিকে গোয়া বিজেপি-তেও সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। সোমবার বিজেপি ছাড়েন দুই বিধায়ক। এর ফলে ঠিক ভোটের মুখে ৪০ সদস্যের গোয়া বিধানসভায় বিজেপি-র সদস্য কমে দাঁড়াল ২৩। সব মিলিয়ে ভোটের মুখে ক্রমেই উত্তেজক পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে গোয়ার রাজনীতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy