—ফাইল চিত্র।
নাম পাল্টালেই চরিত্র বদল হয় না। এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে প্রথম দিনের বৈঠকেই বিরোধী ইউপিএ জোটের নাম পরিবর্তন করে ইন্ডিয়া রাখা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর গত কাল বিহারের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বিরোধী গোষ্ঠীকে অহঙ্কারীদের জোট হিসেবে ব্যাখ্যা করলেন মোদী। পাল্টা পরামর্শে বরং গো-বলয়ের এনডিএ সাংসদদের জাত-পাতের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করায় জোর দেন তিনি। একই সঙ্গে রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদদের নির্বাচনে লড়ার প্রশ্নেও তৈরি থাকতে ইঙ্গিত দিয়েছেন মোদী।
লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে গত ৩১ জুলাই থেকে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করা শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদী। গত কাল বিহার ছাড়াও গো-বলয়ের বেশ রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের অহঙ্কারী হিসেবে ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের দাবি, মোদী বলেন, নাম বদল করে এরা নিজেদের অতীতের দুর্নীতি-অপশাসনকে মানুষের মন থেকে মুছে দিতে চাইছেন। কিন্তু ইউপিএ নাম বদল করলেই এঁদের আমজনতার টাকা লুঠ করার ইতিহাস মুছে যাবে না। পরিবর্তে এনডিএ সাংসদদের মাটির কাছে থেকে আমজনতার জন্য কাজ করার জন্য পরামর্শ দেন মোদী। বিশেষত গো-বলয়ের রাজ্যগুলিতে যেখানে জাতপাতের ভিত্তিতে ভোট হয়ে থাকে সেখানে জাতের ঊর্ধ্বে উঠে গরিব মানুষের কাছে সরকারের জনমুখী প্রকল্পের লাভ পৌঁছে দেওয়ার উপরে জোর দেন মোদী। শেষবেলায় আমজনতার কাছে পৌঁছতে গ্রামীণ এলাকায় আরও বেশি করে সভা করার উপরে জোর দেন মোদী। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘উপস্থিত নেতা-কর্মী, সাংসদদের লক্ষ্য একটাই হওয়া উচিত, তা হল জনকল্যাণ।’’
পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদদের যে কোনও ধরনের ভোটে প্রয়োজনে পুরভোটেও দাঁড়িয়ে নির্বাচনে লড়ার স্বাদ চেখে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। বিজেপি সাধারণত দু’বারের বেশি কোনও নেতাকে রাজ্যসভা থেকে টিকিট দেয় না। সেই কারণে দু’বার রাজ্যসভায় আসা ভূপেন্দ্র যাদব, ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতো নেতা-মন্ত্রীরা এখন থেকেই লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দল।
অন্য দিকে বিরোধী জোটের ইন্ডিয়া নামের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলায় এ দিন জোটের শরিক ২৬টি দল ও নির্বাচন কমিশনকে নোটিস পাঠিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। হাই কোর্টে আবেদনে সমাজকর্মী গিরীশ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, এই নাম রেখে বিরোধীরা জাতীয় প্রতীক ও নামের অপব্যবহার রোধ আইন ভঙ্গ করেছেন। তাঁর মতে, নামটি বিরোধীরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এর জেরে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy