সারা দিন পাঁচ তারা হোটেলে সুবেশা তরুণীর সঙ্গে সময় কাটাতে চান ? গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ
মাত্র একটা ক্লিক। মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে উঠল এক সুন্দরী মহিলার ছবি। পাশেই লেখা, ‘আমার সঙ্গে ডেটিং করতে চান?’ কী মনে হল, ক্লিকটা করেই ফেললেন। তার পর নিজের নাম, মোবাইল নম্বর, বয়স আর শহরের নামটাও লিখে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই ফোন, ‘হ্যালো তানিয়া বলছি। সারা দিন ধরে পাঁচ তারা হোটেলে সুবেশা তরুণীর সঙ্গে সময় কাটাতে চান? তা-ও একেবারে একান্তে।’
এমন একটা ফোনই কাল হল মুম্বইয়ের এক ব্যাঙ্ককর্মীর। ডেটিং অ্যাপে ক্লিক করে খোয়া গেল ১২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা!
গত ২১ মে একটি অ্যাপের বিজ্ঞাপন চোখে পড়েছিল তাঁর। এর পর ক্লিক। ফোনে তানিয়া নামের মেয়েটি বলেছিল, একটি ডেটিং সংস্থা চালায় তারা। প্রথমে বেশ খানিকটা টাকা দিতে হয় বটে, তবে সুন্দরী মহিলাদের সঙ্গে ডেটের পর প্রায় পুরো টাকাটাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাই আর একটুও ভাবেননি মুম্বইয়ের ব্যক্তি। প্রথম দফায় সাড়ে তিন লক্ষ, তার পর আরও তিন দফায় সাত লক্ষ টাকা দিয়ে দেন তিনি। তবুও দেখা মেলেনি কোনও সুন্দরীর। তখন মিনি নামে এক মহিলা ফোন করে বলেন, আরও বেশ খানিকটা টাকা দেওয়ার কথা। কথা হয় কলকাতার শুভজিৎ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গেও। তখনই বুঝতে পারেন, প্রতারকদের ফাঁদে পড়েছেন তিনি। বাধ্য হয়েই স্ত্রীকে এ বার ডেটিং অ্যাপের কথা জানান বছর একচল্লিশের এই ব্যক্তি। তার পর ওই দম্পতি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন মুম্বইয়ের দাদর থানায়।
আরও পড়ুন : রহস্যজনক ভাবে উধাও পুরীর রত্নভাণ্ডারের চাবি
পুলিশের কাছে চার জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন মুম্বইয়ের ওই দম্পতি। হন্যে হয়ে প্রতারকদের খুঁজছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি তারা। ডেটিং অ্যাপের ব্যবহার যত বাড়ছে, বাড়ছে অপরাধের প্রবণতাও, জানিয়েছেন দাদরের এক পুলিশ আধিকারিক। অনলাইন ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy